সরফরাজ খানের অফ স্টাম্পের বাইরের বল ডিপ কাভারে পাঠিয়ে সিঙ্গেলের জন্য ছুটলেন রজত পাতিদার। রান পূর্ণ হতে না হতেই ডাগআউটে থাকা মধ্য প্রদেশের অন্য খেলোয়াড়রা ছুটে গেলেন মাঠে। গোল হয়ে চলল আনন্দ নৃত্য। তাদের উদযাপন তো বাঁধনহারা হবেই। প্রথমবার রঞ্জি ট্রফি জয় বলে কথা!
নামে-ভারে বড় কোনো দল নয় মধ্য প্রদেশ। সেই দলটিই ভারতের ঘরোয়া ক্রিকেটের ‘পাওয়ার হাউস’, রঞ্জি ট্রফির রেকর্ড ৪১ বারের চ্যাম্পিয়ন মুম্বাইকে হারিয়ে জিতল শিরোপা। প্রায় একপেশে ফাইনালে মধ্য প্রদেশের জয় ৬ উইকেটে। গতকাল বেঙ্গালুরুর এম চিন্নাস্বামি স্টেডিয়ামে ম্যাচের শেষ দিন ১০৮ রানের লক্ষ্য তারা পেরিয়ে যায় চা-বিরতির একটু আগে।
মধ্য প্রদেশ সবশেষ ভারতের ঘরোয়া এই প্রথম শ্রেণির টুর্নামেন্টের ফাইনালে খেলেছিল ২৩ বছর আগে। একই মাঠে সেই ফাইনালে কর্ণাটকের বিপক্ষে হারের পর মাঠেই কেঁদেছিলেন মধ্য প্রদেশের অধিনায়ক চন্দ্রকান্ত পণ্ডিত। ঘটনাক্রমে, সেই চন্দ্রকান্তই এবার শিরোপা জয়ী মধ্য প্রদেশের কোচ!
পঞ্চম দিন মুম্বাইয়ের দ্বিতীয় ইনিংস থমকে যায় ২৬৯ রানে। প্রথম ইনিংসে ১৬২ রানে এগিয়ে থাকায় মধ্য প্রদেশের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ১০৮। এক পর্যায়ে ৬৬ রানে ৩ উইকেট হারালেও ম্যাচ জিতে যায় তারা সহজেই। ওপেনার হিমাংশু মন্ত্রী ৩৭ রানের ইনিংসে গড়ে দেন ভিত। অপরাজিত ৩০ রানের ইনিংস খেলে দলের জয় নিয়ে ফেরেন গত আইপিএলে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালোরের হয়ে ঝড়ো সেঞ্চুরি করা রজত পাতিদার। প্রথম ইনিংসে তিনি করেন সেঞ্চুরি। তিন অঙ্ক ছোঁয়া ইনিংস খেলেন ইয়াশ দুবে ও শুভাম শর্মাও।
আসরে সর্বোচ্চ ৯৮২ রান করে টুর্নামেন্ট সেরার পুরস্কার জিতেছেন মুম্বাইয়ের সরফরাজ খান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন