পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আহত দুই যুবক মারা গেছেন। রোববার (২৬ জুন) রাত সাড়ে দশটার দিকে তাদের আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। নিহতরা হলেন- মো. আলমগীর হোসেন (২২) ও মো. ফজলু (২১)।
নিহতদের বন্ধু জয়দেব গণমাধ্যমকে বলেন, আজকে বিকেলে পদ্মা সেতু দেখতে দোহার থেকে আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে যাই। পরে ফেরার পথে আমরা আগের মোটরসাইকেলে ছিলাম। পদ্মা সেতু থেকে আমরা নেমে গিয়েছিলাম। কিছুক্ষণ পর ফোন আসে তারা দুইজন মোটরসাইকেল অ্যাকসিডেন্ট করে আহত অবস্থায় পড়ে আছে। পরে আমরা আবার ফিরে পদ্মা সেতুতে যাই। সেখান থেকে তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি আরও বলেন, তারা দুজনে অ্যাপাচি মোটরসাইকেলে ছিলেন। তবে কিসের সঙ্গে তারা অ্যাকসিডেন্ট করেছেন সে বিষয়ে কিছু জানি না। এদের মধ্যে ফজলু দেশের বাইরে থাকেন এবং আলমগীর একটি মোটরসাইকেল ওয়ার্কশপে কাজ করেন। তাদের পরিবারকে খবর দেওয়া হয়েছে তারা ঢাকা মেডিকেলে আসছেন।
এ বিষয়ে ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া বলেন, ওই দুই যুবককে আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসা হয়েছিল। পরে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। নিহত দুই যুবকের বাড়ি দোহারের শমশাবাদ এলাকায় বলে জানা গেছে।
এর আগে এ দুর্ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওতে দেখা যায়, গুরুতর আহত অবস্থায় দুজন পদ্মা সেতুর ওপর পড়ে আছেন। পাশে রক্ত ও জুতা পড়ে আছে। তবে সেতুর কোন জায়গায় দুর্ঘটনাটি ঘটেছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
পদ্মা সেতু উত্তর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন বলেন, দুর্ঘটনার বিষয়টি শুনেছি। সেতুর উত্তর প্রান্তে কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি। অপর প্রান্তে ঘটতে পারে।
এর আগে সন্ধ্যায় পদ্মা সেতুর উত্তর প্রান্তের টোল প্লাজায় মোটরসাইকেলের ভিড় লেগে যায়। এ সময় টোল দিয়ে মোটরসাইকেল নিয়ে সেতুতে উঠে উল্লাস প্রকাশ করেন আরোহীরা।
উদ্বোধনের একদিনের মাথায় সেতুটিতে প্রথম এ দুর্ঘটনা ঘটল। রোববার ভোর থেকেই সেতুটি যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়।
তবে পদ্মা সেতুতে সোমবার (২৭ জুন) ভোর থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত মোটরসাইকেল চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সেতু বিভাগ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন