কেমার রোচ বল করতে এলেই কি অনেক দুশ্চিন্তা ভর করে তামিম ইকবালের? হয়ত করে, হয়ত করে না। কিন্তু রোচের বলে তিনি যে নড়বড়ে থাকেন এই প্রমাণ মিলছে পরিসংখ্যানে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এই নিয়ে দ্বাদশবারের মতো তামিমকে আউট করলেন রোচ। এবারের উইকেটটি বিশেষ, কারণ টেস্টে তামিমকে ফিরিয়েই রোচ পেলেন আড়াইশ উইকেটের দেখা।
২০০৯ সালে জুলাই মাসে অভিষেক টেস্টে সাকিব আল হাসানকে আউট করে উইকেট নেওয়া শুরু রোচের। এরপর দারুণ পথচলায় তরতর করে এগিয়েছেন। হাল ধরেছেন ক্যারিবিয়ান পেস আক্রমণের। ২০১২ সালে তার ৫০তম শিকার রিকি পন্টিং, ২০১৪ সালে নিউজিল্যান্ডের নিজে ওয়েটলিংকে আউট করে ১০০তম উইকেটের দেখা পান রোচ। ২০১৮ সালে কুশল পেরেরাকে ফিরিয়ে নেন ১৫০তম উইকেট। ২০২০ সালে ইংল্যান্ডের ক্রিস ওকস তার ২০০তম শিকার। এবার তামিম হলেন আড়াইশতম।
সেন্ট লুসিয়ায় গতপরশু ১৭৪ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে বাংলাদেশ। অভিজ্ঞ তামিম দলের ভীষণ প্রয়োজনে হাল ধরতে পারেননি। রোচের অফ স্টাম্পের অনেক বাইরের বল তাড়া করে ক্যাচ দিয়েছেন উইকেটের পেছনে। ৮ বলে থামেন মাত্র ৪ রানে। খানিক পর তার বলে সিøপে ক্যাচ দিয়ে থামেন মাহমুদুল হাসান জয়। ৮ বছর পর টেস্টে ফেরা এনামুল হক বিজয়কে এলবিডব্লিউ করে ছাঁটেন রোচ। বাংলাদেশ ৩২ রানে ৩ উইকেট হারাতেই বৃষ্টিতে বন্ধ হয় খেলা।
টেস্টে তামিমকে এই নিয়ে পঞ্চমবারের মতো আউট করলেন রোচ। ওয়ানডেতে রোচের বলে মোট সাতবার আউট করেছেন তিনি। সব মিলিয়ে ১২ বার তামিমকে শিকার বানালেন বার্বাডোজের পেসার। এই ম্যাচ চলাকালীন টেস্টে ৭৩ ম্যাচে ২৬.৬৮ গড়ে ২৫২ উইকেট হয়ে গেল রোচের।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের সব সময়ের সেরা উইকেটশিকারীর তালিকায় এখন ৬ নম্বরে রোচ। তার আগে আছেন সব কিংবদন্তিরা। জোয়েল গার্নারের উইকেট ২৫৯, লেন্স গিবসের ৩০৯, ম্যালকম মার্শালের ৩৭৬, কার্টলি অ্যামব্রোসের ৪০৫ এবং কোর্টনি ওয়ালশের সর্বোচ্চ ৫১৯ উইকেট আছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন