সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ব্যবসা বাণিজ্য

ধারাবাহিক উত্থানে বাজার উৎফুল্ল বিনিয়োগকারীরা

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৫ নভেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : বাজারের সার্বিক পরিস্থিতির উন্নয়ন ঘটানোর লক্ষ্যে সরকার গুরুত্বারোপ করেছে। গত কয়েক বছরে পুঁজিবাজারে যে সংস্কার করা হয়েছে এর মাধ্যমে বাজারের একটি ভিত্তি তৈরি হয়েছে। সেটাকে কেন্দ্র করে আগামী দিনগুলোতে বাজারের উন্নয়ন ঘটবে সেটা আগেই বলেছিলেন বিশ্লেষকরা। আর নানামুখী উদ্যোগের কারণে দেশের চাইতে বিদেশী বিনিয়োগকারীরা বেশি বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে সক্রিয় হয়েছেন। ফলে প্রতিনিয়ত বাড়ছে বিদেশি লেনদেন। যার সুবাদে হারানো আস্থা ফিরে পেয়ে উৎফুল্ল হয়েছেন বিনিয়োগকারীরা। আর তাদের অংশগগ্রহণে গত কয়েকদিনের মতো আজকের বাজারেও তারল্য বেড়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
তারা বলছেন, বাজারে আস্থার সঙ্কট না থাকায় বিদেশিদের পাশাপাশি বড় বড় গ্রæপসহ বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান ডিএসই মালিকানার একাংশ কিনে অংশীদার হওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে। যা সাধারণ বিনিয়োগকারীদের উচ্ছসিত করেছে। এমন উচ্ছাসের জের ধরেই বিনিয়োগকারীরা যেসব কোম্পানির শেয়ার দর অনুকূলে রয়েছে সেগুলোর প্রতি ঝুঁকছেন। যা বাজারকে একটি স্ট্যাবল পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। তবে বাজারের এই উত্থান লগ্নে কু-চক্রি মহল নানা ধরনের গুজব ছড়াতে পারে।
তাই এ সময়ে কোনো প্রকার গুজবে কান না দিয়ে জেনে বুঝে বিনিয়োগ করার পরামর্শও দিয়েছেন তারা।
এদিকে নতুন ডিবিএ কাজ শুরু করলে ডিএসইর ওপর তারা প্রভাব ফেলতে সক্ষম হবেন এবং গত দু’বছর ধরে যে জট লেগে আছে তা কাটিয়ে বাজারকে একটি উন্নত মানে নিয়ে যেতে পারবেন বলে আশা বাজার সংশ্লিষ্টদের। এ আশাবাদেও অনেক নতুন বিনিয়োগকারী বিনিয়োগ শুরু করেছেন। ফলে বাড়ছে বাজার। বিশ্লেষণে দেখা গেছে, সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে দেশের উভয় স্টক এক্সচেঞ্জে সূচকের ঊর্ধ্বমুখী শেষ হয় লেনদেন। এর মাত্রাও তুলনামূলকভাবে কিছুটা বেশি। এদিন শুরুতে সূচক বৃদ্ধির হার কিছুটা বেশি থাকলেও মাঝে কিছুটা হ্রাস পায় এবং শেষভাগে আবার বাড়ে বাজার। বৃহস্পতিবার সূচকের পাশাপাশি ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেনকৃত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে। এদিকে গতকাল দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন হয়েছে প্রায় ৬৬০ কোটি টাকা। এদিকে ডিএসইতে গত ৮ কার্যদিবসের ১ দিন কারেকশন হলেও বাকি ৭ দিনই বেড়েছে বাজার।
দিনশেষে ডিএসইর ব্রড ইনডেক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৪৭৯১ পয়েন্টে। যা গত এক বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৪ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১১৩৩ পয়েন্টে এবং ডিএসই ৩০ সূচক ৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করে ১৭৬৯ পয়েন্টে। দিনভর লেনদেন হওয়া ৩১৯টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১৭৩টির, কমেছে ১২০টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৬টির। দিনশেষে লেনদেন হয়েছে ৬৫৮ কোটি ৪২ লাখ ৫৫ হাজার টাকা।
এর আগের কার্যদিবস অর্থাৎ বুধবার ডিএসইর ব্রড ইনডেক্স তার আগের দিনের চেয়ে ১৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করে ৪৭৬৫ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ০.৪ পয়েন্ট কমে অবস্থান করে ১১২৯ পয়েন্টে এবং ডিএসই৩০ সূচক ০.১ পয়েন্ট কমে অবস্থান করে ১৭৬৪ পয়েন্টে। আর দিনশেষে খুলনা পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের ৮২৮ কোটি ৫৫ লাখ টাকা ট্রেডের ওপর ভর করে লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৪৭৮ কোটি ১৮ লাখ ৩৬ হাজার টাকা। যা ছিল গত ৫ বছরে সর্বোচ্চ। এর আগে ২০১১ সালের ২৮ জুলাই ডিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৮০৪ কোটি ৭৩ লাখ ৮৮ হাজার টাকা।
এদিকে, দিনশেষে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক ৫৪ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১৪৭২৩ পয়েন্টে। দিনভর লেনদেন হওয়া ২৫০টি কোম্পানির ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১৩৫টির, কমেছে ৯০টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৫টির। আর দিনশেষে সিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ৪২ কোটি ৯০ লাখ ৬ হাজার টাকা। এর আগের কার্যদিবসে সিএসইর সার্বিক সূচক ৫৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করে ১৪৬৬৫ পয়েন্টে। আর ওইদিন সিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছিল ৪৮ কোটি ৬০ লাখ ৮৩ হাজার টাকা। -ওয়েবসাইট

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন