পর্যাপ্ত মজুত থাকার পরও কোরবানি না আসতেই লবণের দাম বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ কাঁচা চামড়া ব্যবসায়ীদের। যদিও তা অযৌক্তিক দাবি করে মিল মালিকরা বলছেন, লবণের দাম বাড়ানো হয়নি। প্রয়োজনে ঈদের দিন লবণ সরবরাহ করা হবে বলেও আশ্বাস তাদের। এদিকে লবণের কারণে কোরবানির চামড়া যাতে নষ্ট না হয়, সে বিষয়ে দুই পক্ষকেই আগাম সতর্ক করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর।
দেশে চামড়া সংগ্রহের সবচেয়ে বড় মৌসুম কোরবানি ঈদ। কিন্তু কয়েক বছর ধরে দাম নিয়ে নৈরাজ্যের কারণে বিপুলসংখ্যক চামড়া নষ্ট হয়েছে। কোরবানিদাতারা বাড়তি দাম পেতে অনেক সময় চামড়া বিক্রি করতে দেরি করেন। আবার বেশি চামড়া একসঙ্গে কিনে পরে বেশি মুনাফার আশায় মজুত করেন মৌসুমি ব্যবসায়ীরা। দুই তরফেই লবণ দিয়ে সংরক্ষণ না করায় নষ্ট হয় চামড়া। এবার এমন পরিস্থিতি এড়াতে আগেভাগেই কাঁচা চামড়া ব্যবসায়ী আর লবণ মিল মালিকদের নিয়ে বৈঠক করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। যেখানে লবণের দাম নিয়ে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করে দুই পক্ষ।
এদিকে কোরবানির আগেই বিতর্কের শেষ দেখতে চায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। সংস্থাটির পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার বলেন, লবণ নিয়ে যদি কেউ কারসাজি করেন বা হঠাৎ করে দাম বাড়িয়ে দেন, তাহলে আমরা ওই প্রতিষ্ঠানটিকে সেদিনই বন্ধ করে দেব। তারপর এক মাসের জন্য সেই প্রতিষ্ঠান আর খোলা হবে না। উল্লেখ্য, দেশের আট জেলার মিলগুলোতে এ মুহূর্তে মজুত আছে সাড়ে তিন লাখ মেট্রিক টন লবণ। যদিও কোরবানি মৌসুমে দরকার ৬০ থেকে ৭০ হাজার মেট্রিক টন লবণ।
মন্তব্য করুন