শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

খেলাধুলা

রাদুকান-মারের বিদায়ে স্বপ্নভঙ্গ বৃটিশদের

স্পোর্টস ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১ জুলাই, ২০২২, ১২:১১ এএম

তিন গ্র্যান্ড স্ল্যামের মধ্যে উইম্বলডনকে উপরে রাখে স্বগর্ভে বিভোর থাকা বৃটিশরা। আর প্রতিযোগিতা শুরুর আগ থেকেই নিজেদের খেলোয়াড়দের নিয়ে কৃত্তিম আলোচনায় চারদিক মাতিয়েও রাখে ইংরেজ গণমাধ্যম। কিন্তু‘ এবারের আসর শুরু হতে না হতেই জোড়া স্বপ্নভঙ্গ হল বৃটিশদের। কয়েক ঘন্টার ব্যবধানে তাদের দুই তারকা অ্যান্ডি মারে ও এমা রাদেকানু বিদায় নিয়েছেন দ্বিতীয় রাউন্ড থেকে। নারী এককে ক্যালরিন গার্সিয়ার কাছে ৩-৬, ৩-৬ গেমে হারেন রাদাকানু। এরপর পুরুষ বিভাগে যুক্তরাষ্ট্রের জন ইসনারের কাছে ৪-৬, ৬-৭, ৭-৬, ৪-৬ গেমে মারে পরাজিত হন।
চোটের কারণে ফ্রেঞ্চ ওপেনের পর খুব কম সময়ই অনুশীলন করতে পেরেছিলেন রাদাকানু। ফরাসি গার্সিয়ার আগ্রাসী প্ল্যানের কোন উত্তর দিতে পারেননি ১৯ বছর বয়সী বৃটিশ তারকা। রাদাকানুকে বারবার নেটের সামনে টেনে আনাটাই ছিল এই ৫৫তম বাছাই ফরাসি প্লেয়ারের প্ল্যানের অংশ। ম্যাচ শেষে রাদাকানু বলেন, দগার্সিয়া দারুণ প্লেয়ার। তার বিপক্ষে আমকে বেশ ধুকতে হচ্ছিল। উইম্বল্ডনের এই আসরে ভালো করার মতন যথার্ত অনুশীলন যে তার ছিল না সে কথাও জানালেন, দআমি এই টুর্নামেন্টের আগে মাত্র ৭ ঘন্টা অনুশীলন করতে পেরেছিলামদ। তবে আবারও ফিট হয়ে ফিরে আসার আশাও ব্যক্ত করতে ভুলেননি বৃটিশ নাম্বার ওয়ান, দ আমার লক্ষ্য এখন শরীরকে টেনিসের জন্য প্রস্তুত করাদ।
ওদিকে টুর্নামেন্ট শুরু আগে মারে ভুগছিলেন কুঁকির চোটে। প্রথম রাউন্ডে পার পেলেও ইসনারের সামনে টিকতে পারেননি তিনি। মাঝের একটা গেম জিতলেও শেষ হাসিটা হেসেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ইসনার। যদিও ওয়ি ম্যাচে মারে প্রমাণ করেছেন যে, এখনো গ্রাউন্ডস্ট্রোক আর রিটার্ন মারার দক্ষতা আগের মতনই আছে তার। ৭৭ বছরের আক্ষেপ ঘুচিয়ে ২০১৩ সালে প্রথম বৃটিশ হিসেবে উইম্বলডন জিতেন মারে। ২০১৬ সালে দ্বিতীয়বারের মতন এই ট্রফির ছোঁয়া পান তিনি। গোটা ক্যারিয়ার পিঠের চোটের সাথে যুদ্ধ করা এবং ইতিমধ্যেই বয়স ৩৫ ছোঁয়া এই তারকাকে পরবর্তী উইম্বল্ডনে দেখা যাবে কিনা সেই প্রশ্নের উত্তরে বলেন, ‘শারীরিক ভাবে কেমন থাকি তার উপরই নির্ভর করছে। যদি শরীর ঠিক থাকে তাহলে খেলব। তবে যে কঠিন অবস্থার মধ্য দিয়ে গত কয়েক বছর গিয়েছি তাতে এখনই নিশ্চিত করে কিছু বলা কঠিন।’ এই ম্যাচকে ক্যারিয়ারের একটা বড় পাওয়া হিসেবে দেখছেন মার্কিন তারকা ইসনার। ম্যাচ পরবর্তী প্রতিক্রিয়াতে জানান, ‘মারের থেকে ভালো প্লেয়ার আমি না। হয়তো আজ ওর থেকে ভালো খেলেছি। আমার যা বয়স তাতে এই ধরনের মুহূর্ত উপভোগ করতে চাই। আমার জীবনের অন্যতম সেরা জয়ের মধ্যে এটা থাকবে।’

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন