মালয়েশিয়ায় জনশক্তি রফতানিতে কর্মী প্রতি অভিবাসন ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে ৭৮ হাজার ৯৯০ টাকা। আজ বুধবার প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। গত ২ জুন ঢাকায় দুই দেশের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের মধ্যে অনুষ্ঠিত জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকে মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর বিষয়টি চূড়ান্ত হওয়ার পর এ ব্যাপারে প্রক্রিয়া শুরু হয়। চুক্তি অনুযায়ী মালয়েশিয়ার নিয়োগকারী কোম্পানীগুলো বাংলাদেশি কর্মীদের আসা যাওয়ার বিমান ভাড়া ও অন্যান্য ব্যয় বহন করার কথা।
১২ জুন থেকে মালয়েশিয়া যেতে ইচ্ছুক কর্মীদের নিবন্ধন প্রক্রিয়া শুরু করে জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (বিএমইটি)। জেলা কর্মসংস্থান অনলাইনে আমি প্রবাসী অ্যাপের মাধ্যমে এই নিবন্ধন শুরু করা হয়। মালয়েশিয়া গমনেচ্ছু কর্মীদের বিএমইটি ডাটাবেজে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার অনুরোধ জানানো হয় বিজ্ঞপ্তিতে। নিয়ম অনুযায়ী বিএমইটির আওতাধীন সব জেলা কর্মসংস্থান অফিস ও জনশক্তি অফিস বা নির্ধারিত কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে সরাসরি উপস্থিত হয়ে নিবন্ধন করা যাবে। সফল নিবন্ধনের জন্য সরকারি ফি ২০০ টাকা অফেরতযোগ্য পরিশোধ করতে হয়। এছাড়া আমি প্রবাসী অ্যাপের মাধ্যমেও ১০০ টাকায় নিবন্ধিত হতে পারবেন। ১৮ থেকে ৪৫ বছর বয়সীরা নিবন্ধনের উপযোগী বলে বিবেচিত হবে। নিবন্ধনের কার্যকারিতা থাকবে দুই বছর পর্যন্ত। যারা আগে থেকে নিবন্ধন করেছেন তাদের নতুন করে নিবন্ধন করতে হবে না।
এদিকে, মালয়েশিয়া সরকার বাংলাদেশি ৩৪টি মেডিক্যাল সেন্টারকে কর্মীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার জন্য অনুমতি দিয়েছে। কিন্ত অজ্ঞাত কারণে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা মালয়েশিয়া সরকারের অনুমোদনপ্রাপ্ত অধিকাংশ মেডিক্যাল সেন্টার পরিদর্শন না করেই নানা অযুহাতে আটকে দেয়ার পাঁয়তারা করছে বলে অভিযোগ উঠছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক সূত্র এতথ্য জানিয়েছে। ফলে সার্ভারে মালয়েশিয়াগামী কর্মীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সক্ষম মেডিক্যাল সেন্টারগুলোর তালিক এখনো প্রকাশ করা সম্ভব হচ্ছে না। এতে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার বাধার সৃষ্টি হতে পারে বলেও কেউ কেউ আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন