সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে শেয়ারবাজারে লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়লেও শেষ পর্যন্ত দরপতনের পাল্লা ভারি হয়েছে। এতে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) মূল্যসূচক কমেছে। সেই সঙ্গে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। মূল্যসূচক ও লেনদেন কমার পাশাপাশি প্রধান শেয়ারাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে প্রায় পাঁচ ডজন প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের ক্রয় আদেশের ঘর শূন্য হয়ে পড়ে। লেনদেনের প্রায় পুরো সময় এই প্রতিষ্ঠানগুলোর ক্রয় আদেশের ঘর শূন্য অবস্থায় থাকে। এতে দিনের সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে গেছে প্রতিষ্ঠানগুলোর শেয়ার ও ইউনিটের দাম।
গতকালের বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, এদিন ডিএসইতে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার মাধ্যমে। ফলে লেনদেন শুরু হতেই ডিএসইর প্রধান সূচক ১০ পয়েন্ট বেড়ে যায়। লেনদেনের প্রথম আধাঘণ্টাজুড়ে ধারাবাহিকভাবে বাড়ে সূচক। এতে লেনদেনের এক পর্যায়ে ডিএসইর প্রধান সূচক ২৮ পয়েন্টের ওপরে বেড়ে যায়। আর দাম বাড়ার তালিকায় নাম লেখায় ৬০ শতাংশ প্রতিষ্ঠান।
তবে লেনদেনের প্রথম আধাঘণ্টা যেতেই পরিস্থিতি বদলাতে থাকে। দাম বাড়ার তালিকা থেকে একের পর এক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম কমার তালিকায় স্থান করে নেয়। লেনদেনের সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে দরপতনের তালিকা। ফলে দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর ১১৮টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ২১০টির। আর ৫৪টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। দাম বাড়ার তালিকায় নাম লেখানো প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে একটির শেয়ার দাম দিনের সর্বোচ্চ পরিমাণ বেড়েছে। বিপরীতে ৫৯টির দাম দিনের সর্বনিম্ন পরিমাণ কমেছে।
এতে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৬ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ৩৬৬ পয়েন্টে নেমে গেছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক ২ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ২৯৯ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর ডিএসই শরিয়াহ্ আগের দিনের তুলনায় দশমিক শূন্য ৫ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৩৮৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
মূল্যসূচক কমার পাশাপাশি বাজারটিতে লেনদেনের পরিমাণও কমেছে। দিনভর ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৪৬ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ৯৬০ কোটি ৭৯ লাখ টাকা। সে হিসেবে লেনদেন বেড়েছে ২১৩ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। ডিএসইতে টাকার অঙ্কে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকোর শেয়ার। কোম্পানিটির ৫৫ কোটি ৫৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ডেল্টা লাইফ ইনস্যুরেন্সের ৫৫ কোটি ২০ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। ৪০ কোটি ৪৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ফরচুন সুজ। এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- জিনেক্স ইনফোসিস, ইন্ট্রাকো, ফু-ওয়াং ফুড, ওরিয়ন ইনফিউশন, সোনালী পেপার, শাহিনপুকুর সিরামিক এবং বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই কমেছে ২০ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ২৬ কোটি ৬১ টাকা। লেনদেন অংশ নেওয়া ৩০২টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৮৮টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৭২টির এবং ৪২টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন