বিএনপি নেতাদের নিজেদের অফিসের চার দেয়ালের মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে বিশ্ব পরিস্থিতির দিকে নজর দেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, মানুষ এবার স্বস্তির মধ্য দিয়ে পবিত্র ঈদুল আযহা পালন করেছে। ইসলামি ভাবগাম্ভীর্য বজায় রেখে অত্যন্ত উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে ঈদ উদযাপন করা হয়েছে। কোরবানির পশুর ক্ষেত্রেও আমরা যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছি সেটি এবার আরো স্পষ্ট হয়েছে। কারণ ভারতীয় গরু এবার আসেনি বললেই চলে।
গতকাল মঙ্গলবার নগরীর দেওয়ানজি পুকুর পাড়স্থ বাসায় সমসাময়িক বিষয়ে ব্রিফিংয়ে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন। এর আগে চট্টগ্রাম নগরীর পানিবদ্ধতা প্রকল্প বাস্তবায়নকারী কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধির সাথে বৈঠক করেন তথ্যমন্ত্রী।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, সরকারের কঠোর অবস্থান ও সিদ্ধান্তের কারণেই সীমান্ত দিয়ে কোন পশু দেশে ঢুকতে পারেনি, যাতে আমাদের দেশের খামারিরা উপকৃত হয়। তিনি বলেন, আমাদের দেশের গরু ছাগল দিয়েই এবার ঈদুল আযহার চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হয়েছে। অনেক গরু ছাগল বিক্রি না হওয়ায় ফেরতও গেছে। অর্থাৎ চাহিদার তুলনায় বেশি যোগান ছিল। এগুলো সরকারের নানামুখি নীতির কারণেই সম্ভব হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, অর্থনৈতিকভাবে অনেক সামর্থ্যবান দেশও সাশ্রয়ীভাবে বিদ্যুৎ ব্যবহার করছে। প্রধানমন্ত্রী সেভাবেই সাশ্রয়ীভাবে বিদ্যুৎ ব্যবহারের আহ্বান জানিয়েছেন। যারা ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দিতে পারেনি, বিদ্যুতের দাবিতে মিছিলকারীদের ওপর গুলিবর্ষণ করেছে তাদের বিদ্যুৎ নিয়ে কথা বলারই অধিকার থাকে না। আসলে বিএনপির কাছে কোন ইস্যু নেই তো, তাই কিছু একটা তো বলতে হবে, সেজন্যই কথা বলে।
নগরীর পানিবদ্ধতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পানিবদ্ধতা নিরসনের জন্য তিনটি প্রকল্পে এগার হাজার কোটির কাছাকাছি টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। যারা এই প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন করছে এই টাকার সদ্ব্যবহার ও সমন্বিতভাবে কাজ করা তাদের দায়িত্ব। আমি নিজেও চট্টগ্রাম শহরে পানিবদ্ধতার মধ্য দিয়েই বড় হয়েছি। মানুষের প্রত্যাশা ছিল, এবার যেহেতু পানিবদ্ধতা প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে গতবারের তুলনায় এবার পানি কম উঠবে। যেহেতু প্রকল্পটি সম্পূর্ণ বাস্তবায়ন হয়নি মাঝপথে আছে, সেজন্য মানুষ এখনো সুফল পাচ্ছে না। মানুষ যাতে তাড়াতাড়ি সুফলটা পায়, সেই কথাটাই তাদেরকে বলেছি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন