তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, তারেক রহমান মানে দুর্নীতিতে পরপর পাঁচবার চ্যাম্পিয়ন, দুর্নীতির বরপুত্র। আলী বাবার চল্লিশ চোরের বড় চোরের নাম আমি জানি না, কিন্তু কাউকে যদি জিজ্ঞেস করা হয় হাওয়া ভবনের সবচে বড় চোর কে? বলবে, তারেক জিয়া। হাওয়া ভবনের সবচে’ বড় চোর ও সন্ত্রাসীদের হাতে দেশ তুলে দেয়া যাবে না।
তিনি বলেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল সাহেব বলেছেন উনারা যদি আওয়ামী লীগকে বিদায় দিতে পারেন তাহলে তারেক রহমানের নেতৃত্বে সরকার গঠন করবেন। আর বিএনপি নেতা আসাদুল হক দুলু নাকি বলেছেন যদি তারা ক্ষমতায় যায়, পিঠের চামড়া তুলে ফেলবে। ওরা যদি আবার ক্ষমতায় যেতে পারে তাহলে সব মানুষের পিঠের চামড়া তুলে ফেলবে। যারা মানুষের পিঠের চামড়া তুলে ফেলতে চায় তাদের হাতে দেশ তুলে দিতে পারি না, তাই সবাই ঐক্যবদ্ধ হোন। গতকাল শনিবার চট্টগ্রাম ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা কৃষক লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এর আগে তথ্যমন্ত্রী আগামী ৪ ডিসেম্বর চট্টগ্রামের পলোগ্রাউন্ডে প্রধানমন্ত্রীর জনসভাস্থল পরিদর্শন করেন। এসময় দলের দায়িত্বশীল নেতারাও সাথে ছিলেন। উত্তর জেলা কৃষক লীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে সম্মেলন উদ্বোধন করেন কৃষক লীগের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ। সাংগঠনিক প্রতিবেদন পেশ করেন উত্তর জেলা সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ সালাম, সাধারণ সম্পাদক শেখ আতাউর রহমান, কেন্দ্রীয় কৃষক লীগ নেতা আকবর আলী চৌধুরী, রেজাউল করিম রেজা প্রমুখ।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি হচ্ছে শীতের পাখি। শীতকালে যেমন সাইবেরিয়া থেকে শীতের পাখিরা এসে আমাদের এখান থেকে ধান খেয়ে মোটাতাজা হয়ে আবার চলে যায়, বিএনপিও হচ্ছে শীতের পাখির মতো। পাঁচ বছর খবর নেই, নির্বাচন যখন আসে তখন শীতের পাখির মতো আসবে। এই শীতের পাখিদের আর সুযোগ দেয়া যাবে না।
তিনি বলেন, বিএনপি আবার সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড শুরু করেছে, এরা জনগণের শত্রু, এরা দেশের শত্রু, এদেরকে সর্বপর্যায়ে প্রতিহত করতে হবে। যারা হাওয়া ভবন বানিয়ে মানুষের কাছ থেকে চাঁদা তুলতো, যারা বিদ্যুৎ না দিয়ে খাম্বা লাগাতো, যারা একুশে আগস্টে গ্রেনেড হামলা করেছে, যারা এসএম কিবরিয়া, আহসান উল্লাহ মাস্টার, মঞ্জুরুল ইমামকে হত্যা করেছে, যারা সারাদেশে বাংলা ভাই সৃষ্টি করে গাছের সাথে টাঙিয়ে মানুষ হত্যা করেছে, পাঁচশ জায়গায় বোমা ফাটিয়েছে, তাদের হাতে দেশ তুলে দিতে পারি না।
তিনি বলেন, দেশের মানুষ আজকে শেখ হাসিনার পেছনে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। এজন্য এই পরিবর্তন বিএনপির সহ্য হয় না। এজন্য বিএনপি এখন সারাদেশে সমাবেশ করছে। সমাবেশ করে সন্ত্রাসীদের জড়ো করছে। গতকাল কাঁচপুর ব্রিজের নামফলক জ্বালিয়ে দিয়েছে। অর্থাৎ তারা আবার সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড শুরু করেছে।
ফখরুল-রিজভী এবং গয়েশ্বর বাবুরা যাই বলুক না কেন, ক’দিন আগে বিশ্ব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট এসে প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করে বলে গেছেন, বাংলাদেশ যে অগ্রগতি করেছে এটা পৃথিবীর জন্য উদাহরণ, বিস্ময়কর অগ্রগতি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন