তাইজুলের বিষাক্ত স্পিনে ১৭৮ রানে অলআউট হয়েছে স্বাগতিক উইন্ডিজ। প্রায় ২ বছর ৪ মাস পর ওয়ানডে খেলতে নেমেই ৫ উইকেট শিকার করেন এই স্পিনার। গায়ানার প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামে ওয়ানডে সিরিজের শেষটিতে জিততে বাংলাদেশের সামনে ১৭৯ রানের লক্ষ্য।
টস জিতে ফিল্ডিং বেছে নেওয়া বাংলাদেশকে প্রথম সাফল্য এনে দেন তাইজুলই। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে ৯ বল খেলে ৮ রান করা ব্রেন্ডন কিংকে বোল্ড করেন তিনি।
দ্বিতীয় সাফল্যটাও আসে তাইজুলের হাত ধরেই। এবার ১৫ বলে ২ রান করা শাই হোপকে স্টাম্পিংয়ের ফাঁদে ফেলেন তিনি। ১৫ রানে ২ ওপেনারকে হারিয়ে ধুঁকতে থাকা ক্যারিবীয়দের বিপদ আরও বাড়ান মোস্তাফিজুর রহমান।
এই পেসার ৮ বলে ৪ রান করা শামারাহ ব্রুকসকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেন। এরপর ক্যারিবীয় ইনিংসের হাল ধরেন অধিনায়ক নিকোলাস পুরান ও এই সিরিজে প্রথমবারের মতো সুযোগ পাওয়া কেসি কার্টি।
স্বাচ্ছন্দ্যে খেলে দুজন গড়েন ৬৭ রান। বিপত্তিটা বাঁধে ইনিংসের ২৭তম ওভারে। নাসুম আহমেদের বল মিড অন দিয়ে খেলতে চেয়েছিলেন কার্টি। কিন্তু বল উঠে যায় উপরে। ক্যাচ ধরেন তামিম ইকবাল। কার্টির ৬৬ বলে ৩৩ রানের সম্ভাবনাময়ী ইনিংস শেষ হয় হতাশায়।
এরপরও স্বাগতিকদের আশার আলো হয়ে ছিলেন পুরান। তার ব্যাটে বড় কিছুর স্বপ্ন দেখছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। হাফ সেঞ্চুরি করে ফেলার পর হাত খুলেছিলেন ক্যারিবীয় অধিনায়কও। তবে তাকে বোল্ড করেই নিজের ফাইফার পূরণ করেন তাইজুল।
শেষ দিকে ক্যারিবিয়ানদের অলআউটের পথে বাধা ছিলেন পুরান। তার বিদায়ের পর তাতে সময় বেশি লাগেনি। ৪ চার ও ২ ছক্কায় ১০৯ বলে ৭৩ রান করে সাজঘরে ফেরত যান পুরান। ৪৮ ওভার ৪ বলে ১৭৮ রানে অলআউট হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বাংলাদেশের পক্ষে ১০ ওভার হাত ঘুরিয়ে ২ মেডেনসহ ২৮ রান দিয়ে ৫ উইকেট নিয়েছেন তাইজুল।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন