স্পেনে ১০ দিনের তীব্র দাবদাহে অন্তত ৫ শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। দেশটিতে এতো তীব্র ও ভয়াবহ দাবদাহ খুবই কম হয়েছে। বুধবার (২০ জুলাই) স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেড্রো স্যানচেজ এমন খবর দিয়েছেন। তৃতীয় কার্লোস স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের প্রকাশিত উপাত্তের বরাতে তিনি এই তথ্য দিয়েছেন।
আগের বছরগুলোর একই সময়ের গড় মৃত্যুর সঙ্গে তুলনা করে এ সময়ে অতিরিক্ত প্রাণহানির হিসাব করে এই পরিসংখ্যান বের করেছে ইনস্টিটিউটটি।
স্পেনের প্রধানমন্ত্রী বলেন, চলতি দাবদাহের সময়ে পাঁচ শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। পরিসংখ্যান বলছে, অতিরিক্ত তাপমাত্রার কারণে এসব মানুষের জীবনহানি ঘটেছে। যে কারণে নাগরিকদের সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বনের আহ্বান জানাচ্ছি।
খবরে বলা হয়েছে, ১০ জুলাই থেকে ১৮ জুলাই পর্যন্ত দাবদাহে স্পেনে ৫১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এসব মৃত্যুর মধ্যে ১৭৩টি রেকর্ড করা হয়েছে শুক্রবারে।
এ সময়ে জলবায়ু জরুরি অবস্থাকে চরম বাস্তবতা বলেও আখ্যায়িত করেন তিনি। পশ্চিম ইউরোপের অধিকাংশ অঞ্চলে দাবদাহ বয়ে যাচ্ছে। এতে স্পেনও আক্রান্ত হয়েছে। গত সপ্তাহে কোনো কোনো অঞ্চলে তাপমাত্রা ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসও ছুঁয়েছে। এতে কয়েক ডজন দাবানল দেখা দিয়েছে।
আগুন ছড়িয়ে পড়লে হাজার হাজার মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। দাবানলে এখন পর্যন্ত দুজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। তাদের মধ্যে একজন অগ্নিনির্বাপণকর্মী, অন্যজন মেষপালক। উত্তরপশ্চিম স্পেনে দাবানলে আটকা পড়েন ওই রাখাল।
ইউরোপীয় দেশটিতে এখন পর্যন্ত যত দাবদাহ হয়েছে, তার মধ্যে এটি ছিল অন্যতম তীব্র। ৯ থেকে ১৮ জুলাই পর্যন্ত এই দাবদাহের স্থায়িত্ব। দেশটির আবহাওয়া সংস্থা এইএমইটি জানিয়েছে, ১৯৭৫ সালে আধুনিক রেকর্ড রাখার পর থেকে ভৌগোলিক বিস্তৃতি ও স্থায়িত্বের হিসেবে এটি ছিল স্পেনের তৃতীয় তীব্র দাবদাহ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন