বছর দুই আগেও বেশ বাজে অবস্থার মধ্যে ছিল আর্জেন্টিনা। সেই পরিস্থিতি পেছনে সাম্প্রতিক সময়ে দুর্দান্ত ছন্দে এখন আলবিসেলেস্তারা। ৩৩ ম্যাচ ধরে তো অপরাজিতই রয়েছে তারা। প্রায় ২৮ বছরের শিরোপা খরা কাটিয়ে গত বছর জিতেছে কোপা আমেরিকাও। সেই দলটির পক্ষেই এবার বিশ্বকাপে বাজী রাখছেন ১৯৮৬ সালের বিশ্বকাপ জয়ী দলের অন্যতম সদস্য হোর্হে ভালদানো। বর্তমানে সবচেয়ে বড় আলোচনা কাতার বিশ্বকাপে কেমন করবে আর্জেন্টিনা। লিওনেল মেসির কারণে আলোচনাটা আরও বেশি। অধরা শিরোপা জয়ের হয়তো এটাই শেষ সুযোগ তার। যদিও এবারের বিশ্বকাপের সবচেয়ে ফেভারিট দল মানা হয় তাদের। কিন্তু ইতিহাস বলে সেরারা সবসময় জয় পায় না।
তবে ভালদানো আর্জেন্টিনার দারুণ সম্ভাবনাই দেখছেন। যদিও জয় পেতে কঠিন সংগ্রামও করতে হবে বলে মনে করেন তিনি, ‘আমি বিশ্বাস করি যে কাতার বিশ্বকাপে আমাদের দল যে কাউকে হারাতে পারে। তবে অন্য দলগুলোকে হারাতেও আমাদের অনেক কষ্ট করতে হবে। আমি বিশেষভাবে শুধু জার্মানি, ফ্রান্স, স্পেন বা ইংল্যান্ডের মতো গ্রেট ইউরোপীয়দের কথা বলছি না, বরং অন্যদের কথা বলছি যারা তারা আলোচনায় নেই কিন্তু তারা খুব ভালো খেলে, যেমন ডেনমার্ক।’
১৯৮৬ সালের জয়ে দারুণ অবদান ছিল ভালদানোর। ফাইনালসহ সে আসরে করেছিলেন চারটি গোল। যদিও ম্যারাডোনার অবিশ্বাস্য পারফরম্যান্সে বিশ্বকাপ জয় করে দলটি। এবার তিনি লিওনেল মেসির কাছ থেকে এমন পারফরম্যান্স প্রত্যাশা করছেন। আর সাম্প্রতিক সময়ে তাদের খেলা দেখে আশায় বুক বেঁধেছেন তিনি, ‘যাই হোক না কেন, আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপ জেতার অন্যতম প্রার্থী, কারণ এই দলে লিওনেল মেসি রয়েছে। এছাড়া সাম্প্রতিক বছরগুলোতে লিওনেল স্কালোনির সঙ্গেও দুর্দান্ত কাজ করেছে এবং ব্রাজিলে কোপা আমেরিকা জিতেছে। এটার ওজন রয়েছে। খেলোয়াড়দের থেকেও বেশি।’
নভেম্বর-ডিসেম্বরে হতে যাওয়া কাতার বিশ্বকাপে এবার ‘সি’ গ্রুপে খেলবে আর্জেন্টিনা। যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ সউদী আরব, মেক্সিকো ও পোল্যান্ড। বিশ্বকাপ জয়ের আশায় কাতারে যাবে আর্জেন্টিনা। সেই আশাকে পূর্ণ করার অভিযানে সামনে থাকবেন মেসির কাছের সতীর্থ ও আর্জেন্টাইন মিডফিল্ডে অন্যতম স্তম্ভ রদ্রিগো দি পলকে কি দেখা যাবে কাতারে? স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম ‘মুন্দো দেপোর্তিভো’ জানিয়েছে, কাতার বিশ্বকাপের বিমান ধরতে হলে অ্যাটলেতিকো মাদ্রিদ মিডফিল্ডারকে সবার আগে আইনি ঝামেলা মেটাতে হবে। সাবেক প্রেমিকা ক্যামিলা হোমসের সঙ্গে আইনি ঝামেলায় জড়িয়েছেন রদ্রিগো দি পল। কাতারের ভিসা পাওয়ার একটি শর্ত হলো, কোনো মামলার আসামি কিংবা আইনি অভিযোগ থাকা চলবে না। তবে রদ্রিগো যে আইনি ঝামেলায় জড়িয়েছেন, তা ফৌজদারি অপরাধের পর্যায়ে পড়ে না। এটিই আশা জাগাচ্ছে আর্জেন্টিনাকে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন