রোববার, ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ব্যবসা বাণিজ্য

মাদারীপুর সোনালী ব্যাংকে গ্রাহকের ১ লাখ টাকা চুরি

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৯ নভেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

মাদারীপুর জেলা সংবাদদাতা : মাদারীপুরে সোনালী ব্যাংকের প্রধান শাখা থেকে গত রোববার দিন-দুপুরে এক গ্রাহকের এক লাখ টাকা চুরি হয়েছে। এ ঘটনায় ব্যাংক কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে। ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহক জেলার কালকিনি উপজেলার ডাসার থানার বালিগ্রাম ইউনিয়নের বাঘরিয়া গ্রামের কালাচান বিশ্বাসের ছেলে নুরু বিশ্বাস সোমবার বিকেলে সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেছেন।
ভুক্তভোগী গ্রাহক নুরু বিশ্বাস জানান, তার ছেলেকে বিদেশে পাঠানোর জন্য মাদারীপুর সোনালী ব্যাংকে এক লাখ টাকা নিয়ে রোববার অনুমান সাড়ে ১১টায় লাইনে ৫ নম্বর কাউন্টারে দাঁড়ান। কিছুক্ষণ পরে ব্যাংকের ক্যাশ কাউন্টার দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা আশরাফ আলী মিয়া তাকে আইডি কার্ড দেখাতে বলেন। তিনি যখন আইডি কার্ডের জন্য ব্যাগে হাত দেন, তখন তার ব্যাগে থাকা এক লাখ টাকা দেখতে না পেয়ে চিৎকার শুরু করলে ব্যাংক ম্যানেজার কোনো প্রকার তদন্ত বা তদারকি না করে তাকে ধমক দিয়ে ব্যাংকের বাইরে বের করে দেন। ব্যাংক কর্তৃপক্ষের অবহেলায় তার টাকা খোয়া গেছে বলে অভিযোগ তার।
এ ঘটনা মাদারীপুর সদর থানায় নুরু বিশ্বাস জানালে থানার এসআই মোবারকের হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তদন্ত শুরু করে। প্রাথমিক অনুসন্ধান করে তদন্তকারী কর্মকর্তা জানান, ব্যাংকের ক্যাশ কাউন্টার ৮ নম্বর সিসিটিভির ক্যামেরা বন্ধ রাখা ছিল। যে ক্যামেরা দ্বারা ব্যাংকের ৪ নম্বর কাউন্টার থেকে ১২ নম্বর কাউন্টারের ভিডিও ফুটেজ ক্যাপচার করা হয়। ৮ নম্বর সিসিটিভির গুরুত্বপূর্ণ এ ক্যামেরাটি বন্ধ থাকায় চুরি হওয়া টাকা শনাক্ত না করার ব্যর্থতার দায় ব্যাংক এড়াতে পারে না বলে এই কর্মকর্তার অভিমত।
ছুটিতে থাকায় সোনালী ব্যাংক মাদারীপুর প্রধান শাখার ম্যানেজার আমিনুর রহমান মুঠোফোনে জানান, ব্যাংকের সিসি ক্যামেরা গত বুধবার পর্যন্ত চালু ছিল, আমি দুই দিনের ছুটিতে আছি। আমি শুনেছি টাকা চুরি হয়েছে। ৮ নম্বর সিসি ক্যামেরা আগের থেকেই বন্ধ ছিল আমার জানা ছিল না।
এ ব্যাপারে সোনালী ব্যাংক মাদারীপুর প্রধান শাখার ভারপ্রাপ্ত ম্যানেজার অভিনাশ চন্দ্র মÐলের কাছে জানতে চাইলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, আমি শুনেছি টাকা চুরি হয়েছে। পরে আমি জানতে পেরেছি যে, আমাদের ৮ নম্বর সিসি ক্যামেরা আগের থেকেই বন্ধ ছিল।
এ ব্যাপারে মাদারীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউল মোর্শেদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, এসআই মোবারেক হোসেনকে তদন্তের জন্য দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উল্লেখ্য, রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাংক হিসেবে মাদারীপুর সোনালী ব্যাংকের গ্রাহকদের সাথে দুর্ব্যবহার, সেবার ক্ষেত্রে সীমাহীন দুর্ভোগ চরমে উঠেছে। ফলে সোনালী ব্যাংকের সেবার মান প্রায় শূন্যের কোঠায় চলে আসায় প্রাইভেট ব্যাংকগুলোতে দিন দিন গ্রাহক সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ বিষয়ে সোনালী ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ সরকারের নজরদারি বাড়ানো দরকার বলে সচেতন মহল মনে করেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন