বার্মিংহামে গতপরশু রাতে মহাসমারোহে উদ্বোধন হয়েছে কমনওয়েলথ গেমসের। ৭২টি দেশের ৫ হাজারের বেশি অ্যাথলেট ১৯টি ইভেন্টে পদক জয়ের লড়াইয়ে অবতীর্ণ হবেন ১১ দিনের এই প্রতিযোগিতায়। গতকাল থেকে শুরু হয়ে গেছে পদক জয়ের লড়াইও। ট্রায়ালথন ইভেন্ট থেকে এবারের গেমসের প্রথম স্বর্ণপদক জিতেছেন স্বাগতিক ইংল্যান্ডের অ্যালেক্স ওয়াইই। এর মধ্যে এদিনই অস্ট্রেলিয়া দলের জন্য দুঃসংবাদ বয়ে আনেন বর্শা নিক্ষেপে বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়ন কেলসে-লি বারবের।
কোভিড-১৯ পজিটিভ হয়েছেন এই অ্যাথলেট। করোনাভাইরাস মহামারির সময় খেলোয়াড়েরা কোভিড পজিটিভ হলে স্বাভাবিকভাবেই টুর্নামেন্টের বাইরে চলে যেতে হতো। কিন্তু করোনার প্রকোপ বিশ্বব্যাপী কমে আসায় সম্ভবত সুযোগটি করে দিয়েছে কমনওয়েলথ গেমস কর্তৃপক্ষ। কোভিড পজিটিভ হওয়ার পর নিজের ইভেন্টে অংশ নিতে পারবেন বারবের।
মেয়েদের বর্শা নিক্ষেপের ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে ৭ আগস্ট। অর্থাৎ কেলসে-লি বারবেরের হাতে সময় আছে সুস্থ হয়ে ওঠার জন্য। সংবাদমাধ্যম ‘স্পোর্টিংনিউজ’- এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর কোনো লক্ষণ দেখা না যাওয়ায় ৩০ বছর বয়সী এই অ্যাথলেট নিজের ইভেন্টে অংশ নিতে পারবেন। অস্ট্রেলিয়া দলের হাই-পারফরম্যান্স ব্যবস্থাপক অ্যান্ড্রু ফেইচনে জানিয়েছেন, ‘কেলসে-লি বারবের গেমস থেকে ছিটকে পড়েনি। আবারও জানাই, আয়োজক কর্তৃপক্ষ বলেছে (করোনায় আক্রান্ত) অ্যাথলেট যদি শারীরিকভাবে ভালো বোধ করেন, তাহলে অংশ নিতে পারবেন।’
করোনায় আক্রান্ত হলে আইসোলেশনের জন্য আগের মতো কড়াকড়ি অবস্থান থেকে সরে এসেছে ইংল্যান্ড। কমনওয়েল গেমসের ক্রিকেট ইভেন্টেও নিয়ম শিথিল করা হয়েছে। গত এপ্রিলে নিউজিল্যান্ডে অনুষ্ঠিত মেয়েদের বিশ্বকাপে করোনায় আক্রান্ত হন অস্ট্রেলিয়া দলের অলরাউন্ডার অ্যাশলে গার্ডনার। ১০ দিন আইসোলেশনে থাকায় দুটি ম্যাচে তিনি খেলতে পারেননি। কিন্তু কমনওয়েলথ গেমসে পরিস্থিতি ভিন্ন। অস্ট্রেলিয়ার সংবাদমাধ্যম ‘ক্রিকেট ডটকম.এইউ’ জানিয়েছে, কোভিড-১৯ পজিটিভ হওয়া প্রতিটি অ্যাথলেটের ওপর আলাদা করে খেয়াল রাখা হবে। প্রতিযোগিতায় নামার মতো হলে খেলতে পারবেন তারা। ‘প্রতিযোগিতায় নামার মতো’- এই কথাটা ব্যাখ্যার দাবি রাখে। করোনায় আক্রান্ত হওয়া অ্যাথলেট শারীরিকভাবে কতটা অসুস্থ তা দেখা হবে। যে ইভেন্টে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন, সেখানে আক্রান্ত খেলোয়াড়ের মাধ্যমে সংক্রমণ বাড়বে কি না- এসব পর্যালোচনার পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
সাবধানতা হিসেবে অ্যাথলেটদের কিছু বিষয়ও মানতে হবে। সতীর্থ অ্যাথলেটের ইভেন্টে উপস্থিত থেকে তাতে সমর্থন দেওয়া যাবে না। লোক সমাগমের কারণে অ্যাথলেটদের করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে। ভিলেজে নিজের কামরার বাইরে বের হলে অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে, অনুশীলনের সময়ও মাস্ক পরতে হবে। বাইরে গিয়ে কফি ও অন্যান্য খাবার কিনে খেতে পারবেন অ্যাথলেটরা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন