সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ আজ সোমবার বিকেলে খুলনার সাউথ সেন্ট্রাল রোডে ১৯৭১: গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘরের ভবন নির্মাণ কাজ পরিদর্শন করেন। পরিদর্শন শেষে প্রতিমন্ত্রী প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন।
এসময় সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাঙালির স্বাধীনতা সংগ্রাম আর মুক্তিযুদ্ধকালীন নিষ্ঠুর গণহত্যার ইতিহাসকে তুলে ধরেছে খুলনার ১৯৭১: গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘর। এই জাদুঘরে একাত্তরের গণহত্যা ও নির্যাতনের বহু নির্দশন, ছবি ও নথিপত্র সংরক্ষিত রয়েছে। নতুন প্রজন্মের সন্তানরা যাতে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানতে পারে সে জন্য এ জাদুঘর সম্পর্কে ব্যাপক প্রচার চালানোর অনুরোধ করেন প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধকালীন পাকিস্তানী বাহিনী ও তাদের এ দেশীয় দোসরদের গণহত্যা-নির্যাতন বিষয়ক প্রমাণ সংরক্ষণে এটি বাংলাদেশের প্রথম জাদুঘর। পরিদর্শনকালে প্রতিমন্ত্রী নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে জাদুঘরের ভবন নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন। পদ্মা সেতুর বাস্তবায়ন দক্ষিণাঞ্চলের জন্য আশীর্বাদ উল্লেখ করে তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর দেশের নির্মাণ খাতে একক বৃহত্তম অর্জন হলো এই পদ্মা সেতু। দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষের জীবন ও অর্থসামাজিক উন্নয়নে অনন্য ভূমিকা রাখবে এই সেতুটি।
সভায় জাতীয় জাদুঘরের সচিব ও ১৯৭১: গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভের প্রকল্প পরিচালক গাজী মোঃ ওয়ালি-উল-হক, খুলনা গণহত্যা জাদুঘরের ট্রাস্টি সম্পাদক ড. চৌধুরী শহীদ কাদের, বিভাগীয় গণপূর্ত দপ্তরের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মোঃ খালেকুজ্জামান চৌধুরী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মুকুল কুমার মৈত্র, প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের আঞ্চলিক পরিচালক আফরোজা খান মিতা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
পরে প্রতিমন্ত্রী সোনাডাঙ্গাস্থ গণহত্যা-নির্যাতন জাদুঘর ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষণা কেন্দ্র পরিদর্শন করেন এবং নগর ভবনে খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেকের সাথে সাক্ষাৎ করেন। সন্ধ্যায় খুলনা বিভাগীয় শিল্পকলা একাডেমিতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে যোগদান শেষে প্রতিমন্ত্রী স্থানীয় সংস্কৃতিককর্মী ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সাথে মতবিনিময় করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন