মাদক ব্যবসায়ী ও জামায়াত সম্পৃক্ত ব্যাক্তিদের দিয়ে ইউনিট কমিটি গঠনের অভিযোগ উঠেছে মতিঝিল থানাধীন ৯ নং ওয়ার্ড এর বঙ্গভবন ইউনিট আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে।
স্থানীয় নেতাকর্মীরা জানান, ২০০০ সাল থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত জামায়াতের কর্মী রফিকুল ইসলামকে মতিঝিল থানার ৯ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের বঙ্গভবন ইউনিটের সভাপতি ও ২০১৯ সালে মতিঝিল থানার মাদক মামলার আসামী সোহেল খানকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ঘোষণা দেয় ঢাকা মমহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের ঢাকা ৮ এর সাংগঠনিক টিম।
সূত্র জানায়, গত ৩ জানুয়ারী মতিঝিল থানার ৯ নং ওয়ার্ড এর আরামবাগ উত্তর, আরামবাগ দক্ষিণ, ফকিরাপুল বাজার, ফকিরাপুল দক্ষিণ, মতিঝিল ও বঙ্গভবন মিলিয়ে মোট ৬ টি ইউনিটের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
দীর্ঘ যাচাই বাছাই এর পর গত ৭ জুলাই ফকিরাপুল বাজার ও মতিঝিল ২ টি ইউনিট বাকি রেখে বাকি ৪ টি ইউনিটের কমিটি ঘোষণা করা হয়। মাদক ব্যাবসায়ি ও জামাতের লোকদের দিয়ে ইউনিট কমিটি ঘোষনা দেয়ায় এলাকার ত্যাগী ও প্রকৃত আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে বিরাজ করছে চাপা ক্ষোভ ও উত্তেজনা।
স্থানীয় নেতারা জানান, রফিকুল ইসলাম ২০০৮ সাল থেকে দেশের বাইরে ছিলেন। দীর্ঘ ১২ বছর পর ২০২০ সালে দেশে ফিরেন।
অপরদিকে মতিঝিল থানার এজাহারভুক্ত মাদক মামলার আসামী সোহেল খান বাগিয়ে নেয় বঙ্গভবন ইউনিটের সাধারন সম্পাদকের পদ। তার বিরুদ্ধে ইয়াবা ব্যবসা করারও অভিযোগ রয়েছে। ২০১৯ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর সোহেল খানের বিরুদ্ধে ইয়াবার মামলা হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি বশিরুল আলম খান বাবুল বলেন, থানা কমিটিকে ইউনিট কমিটি গঠনে কোন দায়িত্ব দেয়া হয়নি। সরাসরি মহানগর কমিটি এই ইউনিট কমিটি গঠন করে দিয়েছেন। যদি ওই কমিটির বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকে তাহলে তাদের বাদ দেয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, আমি এই মতিঝিলের সন্তান, আমরা বা আমি জানি এই এলাকায় কারা কি করে। মতিঝিলের অনেক জায়গা বাসা বাড়ি নেই, শুধু অফিস। ভূয়া হোল্ডিং নাম্বার ব্যবহার করে অনেকেই এই এলাকার ভোটার হয়েছে।
উল্লেখ্য, মতিঝিল থানাধীন ৮, ৯ ও ১০ নং ওয়ার্ডের সদস্য সংগ্রহের সার্চ কমিটি সহ ইউনিট, ওয়ার্ড ও থানার কমিটি গঠনের জন্য ঢাকা-৮ সাংগঠনিক টিমের আহ্বায়ক কমিটিকে দায়িত্ব দেয়া হয়। ঢাকা-৮ সাংগঠনিক টিমের আহ্বায়ক বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সহ সভাপতি আব্দুস সাত্তার মাসুদ ও সদস্য সচিব ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম সম্পাদক-১ জনাব মোর্শেদ কামাল।
এছাড়া উক্ত সাংগঠনিক টিম কমিটিতে সদস্য হিসেবে আরো আছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিন আওয়ামী লীগের নির্বাহী সদস্য জনাব মাসুদ সেরনিয়াবাত, সাহাবুদ্দিন সাহা এবং গিয়াসউদ্দিন সরকার পলাশ।
এ বিষয় জানতে সাংগঠনিক টিমের আহবায়ক ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সহ সভাপতি সাত্তার মাসুদকেও মুঠোফোনে পাওয়া যায় নি।
ঢাকা মহানগর দক্ষিন আওয়ামী লীগের একজন নেতা জানান, ৫ সদস্যের সাব কমিটি করে দেয়া হয়েছিলো ওই কমিটি ১৫০ জন সদস্যের নামের তালিকা জমা দিলে চার মাস পরে যাচাবাছাই করে উক্ত ইউনিট কমিটি হয়েছে। কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে কেউ অভিযোগ করেনি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন