বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১, ২১ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

খেলাধুলা

মেইন মিডিয়া হাব যেন ‘এক টুকরো বাংলাদেশ’!

জাহেদ খোকন, বার্মিংহাম (ইংল্যান্ড) থেকে | প্রকাশের সময় : ৪ আগস্ট, ২০২২, ১২:০৩ এএম

বার্মিংহাম কমনওয়েলথ গেমসের মেইন মিডিয়া হাবের অবস্থান কিং অ্যাডওয়ার্ড রোডের অ্যারেনা বার্মিংহামে। বিশে^র বিভিন্ন দেশের প্রায় ২০০ সাংবাদিক রাতদিন এক সঙ্গে বসে এখানে কাজ করছেন। কমনওয়েলথ গেমস কাভার করতে বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ১১জন সাংবাদিক বার্মিংহামে এসেছেন। গেমসের শুরু থেকেই মেইন মিডিয়া হাবের একটি কর্নারে বসে তারা নিজেদের পেশাগত দায়িত্ব পালন করছেন। বাংলাদেশের সাংবাদিকরা নিজেরাই এই কর্নারের নামকরণ করেছেন ‘বাংলাদেশ কর্নার’। যেই কর্নারে বসে বার্মিংহাম কমনওয়েলথ গেমসের তরতাজা সব খবর প্রতি মুহূর্তে দেশের পাঠক, শ্রোতা ও ক্রীড়াপ্রেমীদের জানাতে বিরামহীন কাজ করছেন বাংলাদেশি সাংবাদিকরা। এদের মধ্যে আছেন- দৈনিক ইনকিলাব, যুগান্তর, ইত্তেফাক, সমকাল, মানবজমিন, দেশ রূপান্তর, কালের কন্ঠ, যমুনা টিভি, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা, গেøাবাল স্পোর্টস পোর্টাল ও ইংরেজি দৈনিক বাংলাদেশ পোস্টের ক্রীড়া সাংবাদিক। এদের পদচারণায় অ্যারেনা বার্মিংহামের মেইন মিডিয়া হাবের একটি কর্নার যেন পরিণত হয়েছে ‘এক টুকরো বাংলাদেশ’ এ! শুধু মেইন মিডিয়া হাবই নয়, বার্মিংহামের যেখানেই কমনওয়েলথ গেমসের খেলা হচ্ছে সেখানেই বাংলাদেশের সাংবাদিকরা দল বেঁধে যাচ্ছেন নিজেদের পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে। কারো কোন তথ্য পেতে সমস্যা হলে তারা সাহায্য নিচ্ছেন মেইন মিডিয়া হাবে কর্মরত স্বেচ্ছাসেবকদের। এখানেই পাওয়া যাচ্ছে গেমসের যাবতীয় খোঁজখবর।
অ্যারেনা বার্মিংহামের একটি ফ্লোরে গড়ে তোলা হয়েছে মিডিয়া হাব। গেমসের জিমন্যাষ্টিক্স খেলা হয়েছে এই অ্যারেনা বার্মিংহামের হল রুমে। সিটি সেন্টার সংলগ্ন মিডিয়া হাবের পাশেই ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টার, সামুদ্রিক প্রাণীদের নিয়ে তৈরী করা সি-লাইফ অ্যাকুরিয়াম, ইউরোপের সবচেয়ে বড় লাইব্রেরি ও বিবিসি অফিসের অবস্থান ।
মেইন মিডিয়া হাবে সব সুবিধাই আছে সাংবাদিকদের জন্য। রয়েছে মেইন হেল্প বক্স, নিউজ ডেস্ক, ট্রান্সপোর্ট সার্ভিস সেন্টার। নীচের ফ্লোরে রয়েছে মার্কেটিং কমিউনিকেশন, প্যারা কমনওয়েলথ গেমস ডেস্ক, এক্সিবিশন হল, ব্যাংক সার্ভিস, পোস্ট অফিস, এয়ার টিকিট ইনফরমেশনস সার্ভিস, কুরিয়ার সার্ভিস ও ইন্টারনেট ক্যাফে।
মিডিয়া হাবের দেয়ালে টিভি টানানো আছে সাতটি। সাংবদিকদের জন্য লকারও আছে। ফটোকপির ব্যবস্থার সঙ্গে পাওয়া যাচ্ছে গেমসের ফলাফল সংগ্ররে বুথ। এখানকার ইন্টারনেট সার্ভিস সেন্টার সার্বক্ষণিক সেবা দিচ্ছে। মিডিয়া হাবে রয়েছে ফটোগ্রাফার্স সেন্টার এবং ফুড সার্ভিসও। নানা স্বাদের খাবারের ব্যবস্থা রয়েছে। মেইন মিডিয়া হাবের দ্বিতীয় তলায় প্রেস কনফারেন্স হল, গ্রাউন্ড ফ্লোরে অ্যাক্রিডিটেশন সেন্টার। ৩৫০ জন স্বেচ্ছাসেবক আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করছেন এখানে। দক্ষ ও মিষ্টভাষী স্বেচ্ছাসেবীরা প্রতি মুহূর্তে সহযোগিতা করে যাচ্ছেন বিদেশী সাংবাদিকদের। সবকিছুর উপরে এখানকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা। নিরাপত্তা ব্যবস্থা খুবই কড়াকড়ি। একটি ভবনেই যেনগাটা পৃথিবী। নানা বর্ণ ও বিভিন্ন দেশের সাংবাদিকদের পদভারে সারাদিন রাত মুখরিত থাকে মেইন মিডিয়া হাব। সেখানে অন্য সবার মাঝে লাল-সবুজের গোটা কয়েক সাংবাদিকের সরব উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো।
কমনওয়েলথ গেমস উপলক্ষে উৎসবের নগরী বার্মিংহামে এখন বিশে^র বিভিন্ন দেশের প্রায় এক হাজার সাংবাদিক কাজ করছেন । ১৩০০ সাংবাদিক অ্যাক্রিডিটেশনের জন্য নাম নিবন্ধন করলেও শেষ পর্যন্ত ৩০০ জন আসেননি।
মিডিয়া হাব থেকে সহজেই গেমসের বিভিন্ন ভেন্যুতে যাওয়া যায় মিডিয়া স্যাটল বাসে করে। আলেকজান্ডার স্টেডিয়াম, স্যান্ডওয়েল অ্যাকুয়াটিক সেন্টার, ন্যাশনাল এক্সিবিশন সেন্টার (এনইসি), স্মিথফিল্ড, এডবাষ্টন ষ্টেডিয়াম, ক্যানক চেজ ফরেষ্ট, ওয়্যারউইক, লি ভ্যালি ভেলোপার্ক, ইউনিভার্সিটি অব বার্মিংহাম, কোভেন্ট্রি অ্যারেনা, ভিক্টোরিয়া পার্ক, কোভেন্ট্রি ষ্টেডিয়াম, সুটন পার্কে সাংবাদিকরা যাতায়াত করেন বিনা ভাড়ায়। শুধু স্যাটল বাসই নয়, শহরের মধ্যে সব জায়গায় কার্ডধারী সাংবাদিকদের বিনে পয়সায় বাস, ট্র্যাম্প ও ট্রেনে যাতায়াতের ব্যবস্থা করেছে আয়োজক কতৃর্পক্ষ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন