মালয়েশিয়ায় পাঠানোর জন্য পর্যাপ্ত কর্মী পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমেদ। প্রবাসী মন্ত্রী বলেন, মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার আমাদের পক্ষ থেকে পুরোপুরি খোলা। তারপরও সে দেশে পাঠানোর কর্মী সঙ্কট দেখা যাচ্ছে। মানুষ যাচ্ছে না, কারণ অন্য তরফ থেকে জিনিসটা এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে না। যাহোক, এখানে কোনো সমস্যা থাকলে আমরা দেখবো। প্রবাসী মন্ত্রী বলেন, আমরা ১৩টি এজেন্টের মাধ্যমে এরইমধ্যে দুই হাজার ২০০ জনকে অনুমতি দিয়েছি। কিন্তু আমরা আরও বেশি বেশি করে কর্মী মালয়েশিয়ায় পাঠাতে চাই। আজ বৃহস্পতিবার নগরীর প্রবাসী কল্যাণ ভবনের বিজয় ৭১ মিলনায়তনে ‘প্রবাসী কর্মীর মেধাবী সন্তানদের শিক্ষাবৃত্তির চেক বিতরণ’ অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
পর্যাপ্ত কর্মী না পাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, যারা লোক পাঠায় এটা তাদের জিজ্ঞেস করুন। তবে আমরাও এ বিষয়ে জানাতে চাইবো, কেন তারা পর্যাপ্ত কর্মী প্রস্তুুত করতে পারছেন না। আমরা খবর নেবো এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাও নেবো। মন্ত্রী বলেন, অনেকে উচ্চতর ডিগ্রি নিয়েও বেকার বসে আছেন, চাকরি নেই। অথচ তারাই যদি নার্সিংয়ে ঢুকতো তবে চাকরির অভাব হতো না। ভোকেশনাল পাস করে স্ক্রু ড্রাইভার কীভাবে চালাতে হয় এটা শিখলেও কিন্তু চাকরির অভাব নেই। আজ জাপানে ছেলেমেয়েরা বয়স্কদের সেবক হিসেবে চাকরি করছে। তাদের বেতনও কিন্তু দুই থেকে আড়াই লাখ টাকা। কিন্তু আমরা এভাবে চিন্তা করি না। আমরা আগে চাকরিটা পেয়ে যেতে চাই।
ইমরান আহমেদ বলেন, সউদী আরবে কাজের বিরাট সুযোগ আছে। দেশে লাখ লাখ মাদরাসা আছে, কিন্তু আরবি ভাষা শেখানো হয় না। কেউ আরবি ভাষা শেখায় না। অথচ সবাইকে কোরআন শরিফের হাফেজ বানিয় দেয়। মাদরাসাগুলোর দায়িত্ব আরবি ভাষা শেখানো, কিন্তু এটা হয় না। মাদরাসা ছাত্ররা সউদী ভাষা জানলে চাকরি ছেড়ে দেশে ফিরে আসতো না। সউদীতে যিনি ৮০০-৯০০ রিয়াল বেতন পান, আরবি জানা থাকলে তার বেতন হতো ১২০০-১৪০০ রিয়াল। এখানে ভাষাগত কমিউনিকেশনের একটা বিরাট গ্যাপ আছে।
এসময় আরও বক্তব্য রাখেন, মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন, ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের মহাপরিচালক মো. হামিদুর রহমান এবং মেধাবী ছাত্র রবিউল হক। মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে বলেন, অনেক কিছু রঙ্গিন মনে হবে কিন্ত তা’সঠিক না। ছাত্র ছাত্রীদের ফেসবুক টুইটারে ডুবে থাকলে চলবে না। স্কীনে বেশিক্ষণ পড়া শুনা করা যাবে না। শরীরটা ঠিক রাখতে হবে এবং বেশি বেশি পড়া-শুনা করতে হবে। তিনি বলেন, অবৈধ পথে বিদেশে গিয়ে অনেকে ভূ-মধ্যসাগরে ডুবে মারা যাচ্ছে। তিনি পদ্মা সেতু উদ্বোধনে সারাবিশ্বে প্রশংসা পাওয়া গেছে। কিন্ত শুধু দেশে সমালোচনা হয়েছে। তিনি দেশপ্রেম জাগ্রত করার গুরুত্বারোপ করেন। পরে প্রবাসী মন্ত্রী ও মন্ত্রিপরিষদ সচিব প্রবাসীদের মেধাবী সন্তানদের মাঝে চেক বিতরণ করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন