এইডেন মারক্রাম ও রিজা হেনড্রিকসের ফিফটি এবং তাদের শতরানের জুটির সৌজন্যে দুইশ ছাড়ানো সংগ্রহ পায় দক্ষিণ আফ্রিকা। সেই রান তাড়ায় লম্বা একটা সময় পর্যন্ত সম্ভাবনা বাঁচিয়ে রেখেছিল আয়ারল্যান্ড। তবে পরপর দুই বলে লর্কান টাকার ও জর্জ ডকরেলের বিদায়ের পর আর পেরে উঠেনি তারা। গতপরশু রাতে ব্রিস্টলের কাউন্টি গ্রাউন্ডে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ২১ রানে জিতে দুই ম্যাচের সিরিজে এগিয়ে গেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ২১১ রান তাড়ায় ১৯০ রানের থামে আয়ারল্যান্ড। আজ রাতে এই ব্রিস্টলেই হবে দ্বিতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টি।
টস জিতে ব্যাট করতে নেমে দ্রুতই বিদায় নেন কুইন্টন ডি কক। বেশিক্ষণ টিকেননি টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান রাসি ফন ডার ডাসেন। তৃতীয় উইকেটে হেনড্রিকস ও মারক্রামের শতরানের জুটিতে ঘুরে দাড়ায় দক্ষিণ আফ্রিকা। ৩৪ বলে পঞ্চাশ স্পর্শ করে জুটির রান, একশ হয় ৫৪ বলে। দ্রুত রান তোলায় অগ্রণী ছিলেন মারক্রাম। ২৫ বলে পঞ্চাশ ছুঁয়ে অবশ্য বেশিদূর যেতে পারেননি এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান। তার বিদায়ে ভাঙে ৬০ বল স্থায়ী ১১২ রানের জুটি। মারক্রাম ২৭ বলে পাঁচ ছক্কা ও দুই চারে খেলেন ৫৬ রানের বিস্ফোরক ইনিংস।
এক প্রান্ত আগলে রাখা হেনড্রিকস ৩২ বলে পঞ্চাশ ছুঁয়ে এগিয়ে যেতে থাকেন সামনে। মারক্রামককে বিদায় করার পরের বলে এই ওপেনারকেও থামিয়ে দেন গ্যারেথ ডেলানি। ৫৩ বলে হেনড্রিকস ১০ চার ও ১ ছক্কায় করেন ৭৪। শেষ ২৫ বলে ৫৪ রান যোগ করে দক্ষিণ আফ্রিকা। ১১ বলে ২৪ রান করেন ত্রিস্টান স্টাবস। ৭ বলে অপরাজিত ২১ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলেন ডোয়াইন প্রিটোরিয়াস।
বড় রান তাড়ায় শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করে আইরিশরা। দুই ওপেনার বিদায় নেন দুই অঙ্ক ছুঁয়ে। এক প্রান্তে দারুণ অবিচল টাকার সচল রাখের রানের চাকা। ডেভিড মিলারের অনুপস্থিতিতে এই ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকাকে নেতৃত্ব দেওয়া কেশভ মহারাজ পরপর দুই ওভারে বিদায় করেন হ্যারি টেক্টর ও কার্টিস ক্যাম্পারকে। মাঝে ডেলানিকে এলবিডব্লু করে দেন তাবরাইজ শামসি। দশম ওভারে ৮৪ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে একরকম ছিটকে গিয়েছিল আয়ারল্যান্ড। সেখান থেকে বিস্ফোরক এক জুটিতে দলকে লড়াইয়ে ফেরান টাকার ও ডকরেল। ষষ্ঠ উইকেটে দুই জনে গড়েন ৪৭ বলে ৮৬ রানের জুটি।
ওভার প্রতি তখন প্রয়োজন ছিল ১৪.২৫ রান করে বেশি করে। শামসি করা ১৭তম ওভারের প্রথম পাঁচ বলে চলে এসেছিল ১৫ রান। বাঁহাতি রিস্ট স্পিনারের শেষ বলটাও কাজে লাগাতে চেয়েছিলেন টাকার। কিন্তু ঠিক মতো স্লগ সুইপ করতে পারেননি, ক্যাচ যায় কিপার ডি ককের গ্লাভসে। ৩৮ বলে পাঁচ ছক্কা ও সাত চারে টাকার করেন ৭৮ রান। পরের ওভারের প্রথম বলে ডাকরেলকে বিদায় করে দেন প্রিটোরিয়াস। সীমানা থেকে দৌড়ে এসে সামনে ঝাঁপিয়ে চমৎকার ক্যাচ নিয়ে এতে বড় অবদান রাখেন মারক্রাম। তিন ছক্কা ও দুই চারে ২৮ বলে ৪৩ রান করে ডকরেলের বিদায়ের পর বেশিদূর এগোয়নি আইরিশদের ইনিংস।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন