বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আন্তর্জাতিক সংবাদ

আজ ইউক্রেন-সিরিয়া নিয়ে আলোচনায় বসছেন এরদোগান-পুতিন

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৫ আগস্ট, ২০২২, ১২:০০ এএম

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেপ এরদোগান রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে আলোচনার জন্য আজ শুক্রবার সোচিতে একদিনের সফরে যাবেন, যেখানে তারা সিরিয়া ও ইউক্রেনের উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা করবেন। এর আগে তারা শেষবার বৈঠকে বসেছিলেন প্রায় তিন সপ্তাহ আগে।

ইউক্রেন, তুরস্ক এবং জাতিসংঘের মধ্যকার চুক্তির সাথে সঙ্গতি রেখে বিশ্ব বাজারে ইউক্রেনের ভুট্টা বহনকারী প্রথম জাহাজটি তুর্কি প্রণালী দিয়ে যাওয়ার পরে এ সফরের কথা ঘোষিত হয়। ইউক্রেন এবং রাশিয়াকে বৈশ্বিক বাজারে শস্য, সার এবং অন্যান্য খাদ্য পণ্য রপ্তানি পুনরায় শুরু করার অনুমতি দেয়ার জন্য করা চুক্তির তিন দিন আগে গত ১৯ জুলাই আস্তানা প্রক্রিয়া সম্মেলনের সাইডলাইনে এরদোগান এবং পুতিন তেহরানে তাদের সর্বশেষ ব্যক্তিগত বৈঠক করেন। রাশিয়া এই লক্ষ্যে তুরস্ক এবং জাতিসংঘের সাথে পৃথক চুক্তিও স্বাক্ষর করেছে।

নেতাদের সোচিতে বৈঠকের আগে, দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী, মেভলুত কাভুসোগলু এবং সের্গেই ল্যাভরভ গত ৩ আগস্ট কম্বোডিয়ায় একটি সংক্ষিপ্ত বৈঠক করেন এবং পুতিন-এরদোগানের বৈঠকের এজেন্ডা নিয়ে আলোচনা করেন। আঙ্কারা এবং মস্কোর কর্মকর্তাদের মতে, সোচিতে বৈঠকটি এই চুক্তির বাস্তবায়নের উপর ফোকাস করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

এরদোগান বলেছেন যে, তিনি পুতিন এবং ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি ভলোদিমির জেলেনস্কির সাথে তার ক‚টনৈতিক যোগাযোগ চালিয়ে যাবেন। পুতিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, দুই নেতা দুই যুদ্ধরত রাষ্ট্রের কৃষ্ণ সাগর বন্দর থেকে শস্য রপ্তানির বিস্তারিত আলোচনা করবেন। তিনি জোর দিয়েছিলেন যে, চুক্তির বাস্তবায়নের বিষয়ে আরও কিছু কাজ করার জন্য এটি একটি সময়োপযোগী সফর হবে।

আঙ্কারার জন্য, এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যে, এ চুক্তিটি যেন একটি বড় বৈশ্বিক খাদ্য সঙ্কট এড়াতে এবং ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে ভবিষ্যতে যুদ্ধবিরতির আশা জাগানোর জন্য সাফল্যের সাথে বাস্তবায়িত হয়। আঙ্কারা চুক্তিগুলি এবং এর বাস্তবায়নকে একটি আস্থা-নির্মাণ ব্যবস্থা হিসাবে বিবেচনা করে যা মস্কো এবং কিয়েভকে আগামী সময়ের মধ্যে একটি শান্তি চুক্তিতে আপস করতে সাহায্য করতে পারে।

তাদের তেহরান বৈঠকের পর, এরদোগান এবং পুতিন সিরিয়ার পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা চালিয়ে যাবেন, বিশেষ করে সন্ত্রাস দমনের প্রেক্ষাপটে। আঙ্কারা দীর্ঘদিন ধরেই তাল রিফাত এবং মানবিজ প্রদেশে উত্তর সিরিয়ায় পিকেকে-এর শাখা ওয়াইপিজি-এর উপস্থিতির বিরুদ্ধে আক্রমণের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। আস্তানা প্রক্রিয়ার অংশীদার, রাশিয়া এবং ইরান, প্রকাশ্যে সিরিয়ায় তুরস্কের সম্ভাব্য নতুন সামরিক অভিযানের বিরোধিতা করেছে কারণ এটি দেশটিকে আরও অস্থিতিশীল করবে। বিনিময়ে, এরদোগান রাশিয়া এবং ইরানকে এই অঞ্চলে ওয়াইপিজি নির্ম‚ল করার জন্য তুরস্কের প্রচেষ্টাকে সমর্থন দিতে বলেছে কারণ গ্রæপটি সিরিয়াকে বিভক্ত করার চেষ্টা করছে।

সিরিয়ায় রাশিয়ার একটি উল্লেখযোগ্য সামরিক উপস্থিতি রয়েছে এবং তারা আসাদ সরকারকে কঠোরভাবে সমর্থন করে। তারা সিরিয়ার আকাশসীমাও নিয়ন্ত্রণ করে এবং তুরস্ককে সম্ভাব্য সামরিক অভিযানে তাদের বিমান বাহিনী ব্যবহার করার জন্য রাশিয়ার কাছ থেকে একটি সবুজ সঙ্কেতের প্রয়োজন। দুই নেতা সিরিয়ার ইদলিব প্রদেশে চলমান যুদ্ধবিরতি পর্যালোচনা করবেন বলে আশা করা হচ্ছে যেখানে প্রায় ত্রিশ লাখ মানুষ আটকা পড়েছে এবং মানবিক সহায়তার প্রয়োজন রয়েছে। এই অঞ্চলটি বেশ কয়েকটি উগ্র সন্ত্রাসী সংগঠনের আবাসস্থল।
প্রত্যাশা অনুযায়ী, দুই নেতার মধ্যে বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য সম্পর্কের পাশাপাশি যৌথ উদ্যোগের ওপরও আলোকপাত করা হবে। পশ্চিমাদের কাছ থেকে প্রবল নিষেধাজ্ঞার অধীনে, রাশিয়া তুরস্কের সাথে তার অর্থনৈতিক কর্মকাÐকে গুরুত্ব দিচ্ছে যারা এ নিষেধাজ্ঞাগুলিতে যোগ দেয়নি। এছাড়াও, দুই নেতা রাশিয়ার রোসাটম দ্বারা আক্কুয়ুর মারসিনে তুরস্কের প্রথম পারমাণবিক কেন্দ্রের চলমান নির্মাণ নিয়েও আলোচনা করবেন। সূত্র : হুরিয়েত ডেইলি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (4)
Abu Yousuf Masud ৫ আগস্ট, ২০২২, ৭:০৬ এএম says : 0
বর্তমান বৈশ্বিক সংকটে বিশ্ব রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার কারণে দিনদিন আন্তর্জাতিক রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দু হতে চলছে তুরস্ক। সময়ের সেরা সাহসী সুলতান রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান।
Total Reply(0)
Mohibur Rahman ৫ আগস্ট, ২০২২, ৭:০৬ এএম says : 0
তুরস্কের জনগণের ভাগ্যটা সত্যিই অনেক ভালো যে, তারা এরদোয়ানের মত একজন বিচক্ষণ রাস্ট্র নায়ক পেয়েছেন।
Total Reply(0)
Muntasirul Islam Uzzal ৫ আগস্ট, ২০২২, ৭:০৬ এএম says : 0
একজন বিশ্ব নেতা হওয়ার মত সবগুলো গুনই উনার মধ্যে বিদ্যমান,তুরস্কের জন্য শুভকামনা নিরন্তর।
Total Reply(0)
Mujib Hasan ৫ আগস্ট, ২০২২, ৭:০৭ এএম says : 0
নেতার মত নেতা থাকলে দেশের আয়তন বড় ফেকটর নয়। বাংলাদেশেও একজন এমন সাহসী নেতা ছিলেন, তিনি শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন