মোহাম্মদ মিঠুন ও নাঈম হাসানের জুটির লড়াই থামল দ্রুত। ফিফটির স্বাদ নিয়ে অধিনায়ক মিঠুনের বিদায়ের পর অলআউট হতে বেশি সময় লাগেনি বাংলাদেশ ‘এ’ দলের। সতীর্থদের ব্যাটিং ব্যর্থতার পর বোলিংয়ে ধারহীন থাকলেন দুই পেসার সৈয়দ খালেদ আহমেদ ও রেজাউর রহমান রাজা। গতকাল সেন্ট লুসিয়ায় সিরিজের প্রথম চার দিনের ম্যাচের দ্বিতীয় দিন শেষে লিড নেওয়ার খুব কাছে রয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ‘এ’ দল। ৬৩ ওভারে তাদের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ১৬৫ রান। এর আগে ৬০.৫ ওভারে সফরকারীদের প্রথম ইনিংস থামে ১৬৭ রানে। আগের দিনের ৬ উইকেটে ১৩২ রান নিয়ে খেলতে নেমে এদিন আর মাত্র ৩২ রান যোগ করতে পারে তারা। ৪২ রান নিয়ে ব্যাটিংয়ে নামা মিঠুন সাজঘরে ফেরেন প্রথমে। ক্যারিবিয়ান পেসার মারকিনো মিন্ডলের চতুর্থ শিকারে পরিণত হন তিনি। ৮৫ বলের ইনিংসে ঠিক ৫০ রান করতে তিনি মারেন ৮ চার। মিঠুনের বিদায়ে ভাঙে নাঈমের সঙ্গে তার ইনিংসের সর্বোচ্চ ৫৩ রানের জুটি। ৬০ বলে ২৭ রান আসে নাঈমের ব্যাট থেকে। তাকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলে ৫ উইকেট পূর্ণ করেন মিন্ডলে। এনামুল হক জেরেমিয়া লুইসের শিকার হওয়ার পর জাস্টিন গ্রিভস রাজাকে বিদায় করলে থামে বাংলাদেশের ইনিংস। মিন্ডলে ৫ উইকেট নেন ৫৯ রানে। ৩ উইকেট পেতে গ্রিভসের খরচা ২৯ রান।
যে উইকেটে স্বাগতিক পেসাররা তোপ দাগেন, সেই একই উইকেটে হতাশ করেন খালেদ ও রাজা। ১৩ ওভারে ৫০ রান দিয়ে উইকেটশূন্য আছেন খালেদ। ১ উইকেট পেলেও ১০ ওভারে রাজার খরচা ৪৯ রান। আঁটসাঁট বোলিং উপহার দেন অফ স্পিনার নাঈম। ২৭ ওভারে ১ উইকেট দখল করতে তিনি দেন মাত্র ৩২ রান।
ক্যারিবিয়ানদের শক্ত ভিত গড়ে দেন তেজনারায়ণ চন্দরপল ও জেরেমি সোলোজানো। উদ্বোধনী জুটিতে তারা আনেন ৭৮ রান। ৯৮ বলে ৩২ করা সোলোজানোকে বোল্ড করে জুটি ভাঙেন রাজা। ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাবেক তারকা শিবনারায়ণ চন্দরপলের ছেলে তেজনারায়ণ ফিফটির সুবাস জাগিয়েও পারেননি। রান আউটে মাঠ ছাড়ার আগে তিনি করেন ১২০ বলে ৪৮ রান। দারুণ বোলিংয়ের পুরস্কার নাঈম পান কেসি কার্টিকে বিদায় করে। ৬৩ বলে ৩৭ রানে উইকেটরক্ষক জাকের আলি অনিকের গ্লাভসবন্দি হন তিনি। এরপর আর কোনো বিপদ ঘটতে দেননি অধিনায়ক জশুয়া ডা সিলভা ও টেভিন ইমলাক।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন