শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ব্যবসা বাণিজ্য

জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে : ঢাকা চেম্বার

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৭ আগস্ট, ২০২২, ৩:২১ পিএম

বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের মূল্য ক্রমান্বয়ে কিছুটা কমে আসা স্বত্বেও সরকার বিগত ৫ আগস্ট, ২০২২ তারিখে জ্বালানি তেলের (ডিজেল, পেট্রোল এবং অকটেন) মূল্য ৪২.৫ শতাংশ থেকে ৫২ শতাংশ বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছে যা দেশের আপামর জনগনের জীবনযাত্রার পাশাপাশি সার্বিকভাবে আমাদের অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে মনে করে, ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)।

আমরা সবাই অবগত আছি যে, বিশ্বব্যাপী কোভিড মহামারীর প্রভাব কমে আসার পর, ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগে গতির সঞ্চার হওয়ার মাধ্যমে আমাদের অর্থনীতিতে পুনরুজ্জীবনের একটি প্রতিফলন পরিলক্ষিত হচ্ছিল। এমতাবস্থায় চলতি বছরের জুন মাসে গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি এবং গত ৫ আগস্ট, ২০২২ তারিখে ডিজেল, কেরোসিন, পেট্রোল ও অকটেনের মূল্য উল্লেখযোগ্য হারের বৃদ্ধির এ সিদ্ধান্ত নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি, পরিবহন খাতে খরচ বৃদ্ধির মাধ্যমে সার্বিকভাবে মূল্যস্ফীতিকে আরো বাড়িয়ে দিবে, যার ফলে সাধারণ জনগনের জীবনযাত্রায় দূর্ভোগ নেমে আসবে। এছাড়াও আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানির অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধির কারণে আমদানিকৃত জ্বালানী নির্ভর বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে যার কারণে আমাদের শিল্পখাত প্রয়োজনীয় বিদ্যুতের অভাবে স্বাভাবিক উৎপাদন প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখতে পারছেনা যার প্রভাব রপ্তানি বাণিজ্যে পড়তে পারে।

বিশেষ করে, অস্বাভাবিক হারে ডিজেলের মূল্য বৃদ্ধি এবং সম্প্রতি ইউরিয়া সারের মূল্য কেজি প্রতি প্রায় ৬ টাকা বৃদ্ধি আমাদের কৃষিখাতকে চাপে ফেলবে, যদিও এখাতটি আমাদের জিডিপিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার পাশাপাশি প্রান্তিক পর্যায়ে সর্বোচ্চ কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করে থাকে। তাছাড়াও জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি শিল্পখাতে আমাদের পণ্য উৎপাদন ও পণ্য পরিবহন খরচকে আরো বাড়িয়ে দিবে, যার ফলে ব্যবসা-বাণিজ্যে ব্যয় বাড়বে, পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি পেতে পারে। এর ফলে বৈশ্বিক বাণিজ্য প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ আরো পিছিয়ে পড়বে এবং স্থানীয় ও বৈদেশিক বিনিয়োগ নিরুসাহিত হবে।

সার্বিক অবস্থা বিবেচনায়, ঢাকা চেম্বার মনে করে, দেশের দীর্ঘমেয়াদে জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে একটি দীর্ঘমেয়াদী জ্বালানি নীতিমালা প্রণয়নের পাশাপাশি স্থানীয়ভাবে গ্যাস উত্তোলন কার্যক্রম সম্প্রসারণের কোন বিকল্প নেই। এছাড়াও, এনার্জি মিক্স, জ্বালানী ব্যবহারে অপচয় হ্রাস ও কস্ট অ্যান্ড এনার্জি এফিশিয়েন্ট বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যবস্থাপনা একান্ত জরুরী। সেই সাথে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি ব্যবহারে কৃচ্ছতা স্বাধনে আরো কঠোর তদারকি, আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানির মূল্য কমে আসলে তার সাথে সঙ্গতি রেখে দ্রুততই স্থানীয় বাজারে জ্বালানির মূল্য হ্রাসের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে ডিসিসিআই।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন