টানা পাঁচ কার্যদিবস ঊর্ধ্বমুখী থাকার পর গতকাল রোববার দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও অন্য শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) মূল্যসূচকের পতন হয়েছে। সে সঙ্গে কমেছে লেনদেনও। এর আগে শেয়ারবাজারে টানা দরপতন দেখা দিলে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) থেকে প্রতিটি সিকিউরিটিজের ফ্লোর প্রাইস বেঁধে দেওয়া হয়। সে সঙ্গে পুঁজিবাজারে ব্যাংকের বিনিয়োগ সীমা গণনায় বাজারমূল্যের পরিবর্তে ক্রয়মূল্যকে বিবেচনায় নেওয়ার সিদ্ধান্ত আসে।
এতে গেলো সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবসেই ঊর্ধ্বমুখী থাকে শেয়ারবাজার। টানা পাঁচ কার্যদিবসের উত্থানে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক বাড়ে ৩৩১ পয়েন্ট। আর বাজার মূলধন বাড়ে ২১ হাজার ৩৬৪ কোটি টাকা। এ পরিস্থিতিতে চলতি সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমার মাধ্যমে। এতে লেনদেন শুরু হতেই ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ১২ পয়েন্ট কমে যায়।
লেনদেনের শুরুতে নিম্নমুখী প্রবণতা শেষ দিকেও অব্যাহত থাকে। তবে লেনদেন চলাকালীন বেশ কয়েকবার সূচক সামান্য ঊর্ধ্বমুখী হয়। কিন্তু বেশি সময় সে ঊর্ধ্বমুখী ধারা অব্যাহত থাকেনি। ফলে বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠানের দাম কমার মাধ্যমে দিনের লেনদেন শেষ হয়।
দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে ১২৪টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৮৭টির এবং ৬৯টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। এতে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৮ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ৩০৪ পয়েন্টে নেমে গেছে।
প্রধান মূল্যসূচকের পাশাপাশি কমেছে বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক। এ সূচকটি আগের দিনের তুলনায় ৫ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ২৫৯ পয়েন্টে অবস্থান করছে। তবে ডিএসই শরিয়াহ্ আগের দিনের তুলনায় ১ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৩৭৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
প্রধান মূল্যসূচকের পাশাপাশি ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ কিছুটা কমেছে। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ১১৭ কোটি ৩৩ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ১ হাজার ১৯০ কোটি ২৬ লাখ টাকা। সে হিসেবে লেনদেন কমেছে ৭২ কোটি ৯৩ লাখ টাকা।
ডিএসইতে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকোর শেয়ার। কোম্পানিটির ১০১ কোটি ৮০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিংয়ের ৩৬ কোটি ৮৮ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। ৩৮ কোটি ৭৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ। এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে-মালেক স্পিনিং, কুইন সাউথ টেক্সটাইল, ম্যাকসন স্পিনিং, পারবো কেমিক্যাল, অলেম্পিক, ওরিয়ন ফার্মা এবং সী পাল বিচ রিপোর্ট।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই কমেছে ৫ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ২১ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। লেনদেন অংশ নেওয়া ২৮১টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১১২টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১২০টির এবং ৪৯টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন