সাদা বলের ক্রিকেটে খুবই মলিন সময় পার করছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দল। বাংলাদেশে ও ভারতের সাথে ওয়ানডেতে ধবলধোলাই হয়েছে। একই সাথে ৪-১ ব্যবধানে টি-২০ সিরিজ হেরেছে রোহিত শর্মাদের কাছে। বাংলাদেশ ও ভারতের সাথে স্বাগতিকদের মূল পার্থক্যটা ছিল মূলত স্পিন যুদ্ধে। আকিল, মোতি বা হেইডেন ওয়ালসদের ভান্ডারে নেই বিষ ছোড়ার মতন বল। সেখানে বেশ এগিয়ে ছিল এশিয়ার দুই দল। এবার সেই মন্ত্রে ক্যারিবিয়ানদের বশ করলো নিউজিল্যান্ডও। জ্যামাইকার কিংস্টোনে ৩ ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-২০’তে টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৫ উইকেটের বিনিময়ে ১৮৫ রানের সংগ্রহ পায় কিউইরা। রান তাড়া করতে নেমে ৭ উইকেট খুইয়ে ১৭২ পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে স্বাগতিকরা। মূলত কিউই স্পিনার মিচেল স্যান্টনারের নতুন বলের ঘূর্ণিতেই কুপকাত পুরান বাহিনী।
প্রথম জুটিতেই ৬২ রান পেয়ে যায় নিউজিল্যান্ড। ২৯ বলে ৪৩ রান করেন বাঁহাতি ওপেনার দেভন কনওয়ে। ২ ছক্কা ও ৪ চারে তার ঝড়ো ইনিংসটি সাজানো ছিল। ঠিক একই সংখ্যক বাউন্ডারির মারে ৪৭ রান করেন দীর্ঘদিন পরে দলে ফেরা কাপ্তান উইলিয়ামসন। এই দুই টপ ওর্ডারের দারুণ ভূমিকা ছিল বড় পুঁজির পেছনে। তবে জেমস নিশামই দুইশো ছোঁয়া স্কোর এনে দেন কিউইদের। এই অলরাউন্ডার যখন মাঠে নামেন তখন নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ ১৪৪, বাকি আছে আর ২১ বল। সেখান থেকে ১৫ বলে ৩৩ রানের ইনিংস খেলেন এই বাঁহাতি। স্বাগতিকদের হয়ে ৩২ রানে ৩ উইকেট নেন ওডেন স্মিথ। নিউজিল্যান্ডের ব্যাটিংয়ের মাঝপথে প্রায় দুই ঘন্টা বৃষ্টির জন্য খেলা বন্ধ ছিল।
রান তাড়া করতে গিয়ে স্যান্টনারের তোপের মুখে ৪৯ রানেই শীর্ষ ৪ ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে ফেলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দলের মারকাটারি দুই ব্যাটার পুরান ও হেটমায়ারকে ফেরান এই বাঁহাতি স্পিনার। ক্যারিবিয়ানরা ম্যাচে টিকে থাকে স্মিথ ও রোমারিও শেফার্ডের ৭ম উইকেটের বদলতে। শেষ ১৮ বলে দরকার ছিল ৬২ রান। এই জুটির ২৬ বলে ৫৮ রানের পরও ১৩ রানের হার মেনে নিতে হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। শেফার্ড ১৬ বলে ৩১ করেন যাতে ১ চারের সাথে ৩ ছক্কাও ছিল। অন্যদিকে স্মিথ ৪ চার ও ১ ছয়ে খেলেন ১২ বলে ২৭ রানের ঝড়ো ইনিংস। স্যান্টনার মাত্র ১৯ রান খর করে তুলেন ৩ উইকেট।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন