লাল বল খেলার জন্য ক্যারিবিয়ান দ্বীপ যেন এক রহস্যময় জায়গা বাংলাদেশী ব্যাটসম্যানদের কাছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে জাতীয় দল যেভাবে খেলেছিল, ঠিক সেই ধারায় বজায় রাখল ‘এ’ দলও। সেন্ট লুসিয়ায় দ্বিতীয় চারদিনের ম্যাচে প্রথম দুই দিন মিলে খেলা হয়েছে মোট ৮৪ ওভার। বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে ব্যাট হাতে রানের দেখা পাননি সাদমান, ফজলে রাব্বিরা। তবে স্বাগতিক বোলারদের ধৈর্যের কঠিন পরীক্ষা নিয়ে এখনও টিকে আছেন সাইফ হাসান। প্রথমদিন শেষে ২৩ রান নিয়ে অপারাজিত থাকা এই ডানহাতি ব্যাটার দ্বিতীয় দিন পেলেন অর্ধশতকের দেখা। তার ব্যাটিংয়ে লজ্জা এড়ানো বাংলাদেশ ‘এ’ দলের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৫ উইকেটের বিনিময়ে ১৫৭ রান। প্রথম দিনে মাঠে গড়ায় মোট ৩৪ ওভার। যেখানে ১ উইকেটের বিনিময়ে ৬৯ রান নিয়ে দিনের খেলা শেষ করে বাংলাদেশ।
বৃষ্টির কারণে দ্বিতীয় দিনে লাঞ্চের পরে খেলা শুরু হয়, যার ফলে সারা দিন মাত্র ৫০ ওভারের খেলা হয়েছে। সাইফের সঙ্গে ২২ রান নিয়ে দিন শুরু করে সাদমান। মাত্র ৩ রান যোগ করে অ্যান্ডারসন ফিলিপের বলে কাটা পড়েন এই ওপেনার। তবে বল খেলেন ১১৮টি। ফজলে রাব্বি ৪৭ বলে ১৪ রান করে যখন মিন্ডলের বলে ফিরলেন তখন দলের রান ১০৮। এতে ছেদ পড়ে সাইফের সাথে রাব্বির জমে যাওয়া ৩৪ রানের জুটির। এরপর ক্রিজে আসেন কাপ্তান মিথুন। নেমেই দুবার প্রাণ পান এই ব্যাটসম্যান। তবে সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে ইনিংস বড় করতে পারেননি অধিনায়ক। দলকে বিপদে রেখে ১৪ বলে ১৪ করে ফিরে যান তিনি। অর্চিবল্ডের লেংথ বলে পুল করতে গিয়ে কিপারের কাছে ক্যাচ দেন মিথুন। এরপরেই অর্ধশতকের দেখা পান সাইফ। যার জন্য তাকে খেলতে হয় ১৪৮টি বল। জাকির হাসান সাথে প্রায় ১৭ ওভার মাঠে থাকার পরও আউট হন অফস্টাম্পের বাহিরের বল কাট করতে গিয়ে। তার ব্যাট থেকে আসে ৫৬ বলে ১৫ রান। এরপর আরও ৭ ওভারের খেলা হয়। এই সময় আরেক জাকিরকে (আলী) নিয়ে কোন বিপদ ছাড়াই দিন পার করেন সাইফ। দ্বিতীয় দিনে ৮৮ রান যোগ করলেও ৪ উইকেট হারায় মিঠুন বাহিনী। ৬৩ রানে অপারাজিত সাইফ খেলেছেন ২১৭টি বল। তাতে ৬টি চার ও ১টি ছক্কার মার ছিল।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন