বিতর্কিত লেখক সালমান রুশদির উপর নিউইয়র্কে হামলার ঘটনা ঘটেছে। ৭৫ বছর বয়সী এই লেখককে একটি অনুষ্ঠানে মঞ্চে যাওয়ার সময় তার পেটে ও ঘাড়ে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে বলে নিউইয়র্ক পুলিশ জানিয়েছে। বিতর্কিত লেখার কারণে ১৯৮০-এর দশকে ইরান থেকে তার মৃত্যুর হুমকি এসেছিল। গতকাল শুক্রবার পশ্চিম নিউইয়র্কে একটি বক্তৃতা দিতে মঞ্চে ওঠার সময়ে তার উপর হামলা করা হয়৷-ওয়াশিংটন পোস্ট, বিবিসি
চৌতাকুয়া ইনস্টিটিউশনের কলা ও শিক্ষা কেন্দ্রে বক্তৃতা দিতে যাওয়ার সময় একজন ব্যক্তি মঞ্চে তার উপর হামলা চালান। এপির এক রিপোর্টার প্রত্যক্ষ করেছেন যে, একজন ব্যক্তি চৌতাকুয়া ইনস্টিটিউশনের মঞ্চে কথার ঝড় তুলে এবং রুশদির সাথে পরিচয়ের সময় তাকে ঘুষি দেয় এবং ছুরিকাঘাত শুরু করে। ৭৫ বছর বয়সী এই লেখককে ধাক্কা দিলে তিনি মেঝেতে পড়ে যান এবং পরে লোকটিকে সংযত করা হয়।
রুশদিকে মঞ্চে প্রাথমিক চিকিৎসার পর হেলিকপ্টারে করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় এবং তার উপর হামলাকারী সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে ঘটনাস্থলে গ্রেফতার করে তাকে হেফাজতে রাখা হয়েছে বলে নিউ ইয়র্ক স্টেট পুলিশ জানিয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, মুখোশ পরা একজন হামলাকারী তাকে বহুবার আঘাত করেছে। রুশদির ঘাড়ে ও পেটে ছুরিকাঘাত করা হয়। পুলিশ বলছে, সন্দেহভাজন ব্যক্তির নাম হাদি মাতার, তিনি নিউ জার্সির ২৪ বছর বয়সী তরুণ। লেখককে অস্ত্রোপচার করা হচ্ছে, যা কয়েক ঘন্টা ধরে চলছে।
হামলা দেখে দর্শকদের মধ্যে শত শত লোক হাঁপাতে থাকে এবং তারপরে তাদের সরিয়ে দেওয়া হয়। রুশদির বিতর্কিত বই ‘দ্য স্যাটানিক ভার্সেস’ ১৯৮৮ সাল থেকে ইরানে নিষিদ্ধ করা হয়। দ্য স্যাটানিক ভার্সেস প্রকাশিত হওয়ার পর রুশদি মৃত্যুর হুমকির সম্মুখীন হন এবং প্রায় এক দশক ধরে আত্মগোপনে থাকেন। কারণ, অনেক মুসলমান এটিকে ধর্মবিদ্বেষী লেখা বলে মনে করে এবং এটাকে নিন্দা করে। এক বছর পর ইরানের মরহুম নেতা আয়াতুল্লাহ রুহুল্লাহ খোমেনি রুশদির মৃত্যুদন্ড ঘোষণা করে একটি ফতোয়া বা আদেশ জারি করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন