বার্মিংহাম কমনওয়েলথ গেমস এবং কোনিয়ার ইসলামিক সলিডারিটি গেমসে দুর্দান্ত পারফরম করেছেন টেবিল টেনিসের ক্রীড়াবিদরা। কমনওয়েলথে পুরুষ দলগত বিভাগে কোয়ার্টার ফাইনালে খেলেছে বাংলাদেশ। যা লাল সবুজদের ইতিহাস। কোনিয়াতেও সেই ধারা বজায় ছিল। মেয়েদের এককে সাদিয়া রহমান মৌ শেষ চারে খেরেন। এছাড়া পুরুষ দলগত বিভাগেও কোয়ার্টার ফাইনালে খেলেছে বাংলাদেশ। এবার তাদের লক্ষ্য ২০২৬ কমনওয়েলথ গেমস। অস্ট্রেলিয়ার স্টেট অব ভিক্টোরিয়াতে অনুষ্ঠেয় ওই গেমসে পদক জিততে চায় তারা। তুরস্কের কোনিয়া থেকে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ফেডারেশনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি খন্দকার হাসান মুনীর বলেন, ‘প্রায় দেড় বছর আগে আমরা যে আবাসিক ক্যাম্প শুরু করেছিলাম, তারই ফল পেয়েছি এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে, সাউথ এশিয়ান জুনিয়র ও ক্যাডেট চ্যাম্পিয়নশিপে এবং কমনওয়েলথ গেমসে। এখন কমনওয়েরথ গেমসে পদক জয়ের আশা নিয়েই আমরা এগুচ্ছি। আশাকরি পরের গেমসেই আমরা দেশের জন্য পদক জিতে আনতে পারবো।’
দুই গেমসে খেলা শেষ হলেও দেশে চলছে অনূর্ধ্ব-১৫ ও অনূর্ধ্ব-১৯ এর । দুই বয়সভিত্তিক দলে ২২ জন খেলোয়াড় দীর্ঘমেয়াদী আবাসিক ক্যাম্পে অংশ নিচ্ছে। তাদের থাকা, খাওয়া, পড়াশোনা, কোচিং, বল, রাবার সব কিছুর দায়িত্ব নিয়েছে ফেডারেশন। বাংলাদেশের জাতীয় কোচ মোহাম্মদ আলী, ক্যাম্প কমান্ডার আসাদুজ্জামান বাদশা, আনোয়ার কবীর চৌধুরী বাবু ও তাজউদ্দিন পাপ্পুর তত্বাবধানে প্রত্যেকদিন দুই বেলা অনুশীলন করছেন খেলোয়াড়রা। ইতোমধ্যে এই ক্যাম্পে যোগ দিয়েছেন চারজন বিদেশি প্রশিক্ষণ সহযোগী ও একজন কোচ। কোনিয়া থেকে আজ দেশে ফিরছে টেবিল টেনিস দল।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন