অন্য কোনো ব্যাটার পৌঁছাতে পারলেন না চল্লিশের ঘরেও। বাংলাদেশ টেস্ট দল থেকে বাদ পড়া সাইফ হাসান এক প্রান্ত আগলে টেনে নিলেন বাংলাদেশ ‘এ’ দলের ইনিংস। আগের দুই দিন মাটি কামড়ে ক্রিজে পড়ে থাকা এই ডানহাতি ব্যাটার দারুণ সব বাউন্ডারিতে তুলে নিলেন সেঞ্চুরি। সেন্ট লুসিয়ায় বাংলাদেশ সময় গতপরশু ভোরে দ্বিতীয় চার দিনের ম্যাচের তৃতীয় দিনে ৯ উইকেটে ৩০০ রান তুলে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করেছে সফরকারীরা। এরপর ওয়েস্ট ইন্ডিজ ‘এ’ দল খেলা শেষ করে ২ উইকেটে ৪৩ রান তুলে। দুটি উইকেটই নেন বাঁহাতি পেসার মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী।
ড্যারেন স্যামি জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথম দুই দিনের মতো এদিনও ব্যাট-বলের লড়াইয়ে বাধা দিয়েছে বৃষ্টি। সব মিলিয়ে খেলা হয়েছে মাত্র ৬০.৪ ওভার। ফলে প্রথম চার দিনের ম্যাচের মতো এটিও গড়াচ্ছে ড্রয়ের দিকে। সাজঘরে ফেরার আগে ৪৯৪ মিনিট বা ৮ ঘণ্টা ১৪ মিনিট উইকেটে ছিলেন সাইফ। তিনি খেলেন ১৪৬ রানের অসাধারণ ইনিংস। ৩৪৮ বল মোকাবিলায় তিনি মারেন ১৩ চার ও ৪ ছক্কা।
দ্বিতীয় দিনের ৫ উইকেটে ১৫৭ রান নিয়ে খেলতে নেমেছিল বাংলাদেশ ‘এ’ দল। সাইফ দিন শুরু করেছিলেন ২১৭ বলে ৬৩ রানে। এরপর দুর্দান্ত সব শট খেলে প্রথম শ্রেণির ক্যারিয়ারে ৫৩ ম্যাচে সপ্তম সেঞ্চুরির দেখা পান তিনি। ষষ্ঠ উইকেটে জাকের আলির সঙ্গে ১০১ রানের বড় জুটি গড়েন সাইফ। লেগ স্পিনার ইয়ান্নিক ক্যারিয়ার বলে জাকের বিদায় নিলে বিচ্ছিন্ন হন দুজনে। তার ব্যাট থেকে আসে ৮৬ বলে ৩৩ রান। নাঈম হাসান ও মৃত্যুঞ্জয় টিকতে পারেননি বেশিক্ষণ। দুজনই শিকার হন ক্যারিবিয়ান পেসার অ্যান্ডারসন ফিলিপের। ক্যারিয়ার ডেলিভারি উড়িয়ে মারার চেষ্টায় সাইফ আউট হলে ইনিংস ঘোষণা করেন বাংলাদেশ 'এ' দলের অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন।
জবাব দিতে নেমে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ‘এ’ দলের শুরুটা ছিল সাবধানী। তবে ৩০ রানের উদ্বোধনী জুটির পর নিজের পরপর দুই ওভারে জেরেমি সোলোজানো ও কেসি কার্টিকে সাজঘরে পাঠান মৃত্যুঞ্জয়। ক্রিজে আছেন তেজনারায়ণ চন্দরপল ৫৭ বলে ২১ ও অধিনায়ক জশুয়া ডা সিলভা ২১ বলে ১২ রানে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন