স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, হাসপাতালে নয়, ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের কোভিড টিকা নির্ধারিত স্কুল কেন্দ্রে দেওয়া হবে। প্রথম ধাপে সিটি করর্পোরেশন এলাকার স্কুলগুলোকে এ জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে। কোন কোন স্কুলে টিকা দেওয়া হবে তা শিক্ষা বিভাগ জানিয়ে দেবে। গতকাল সোমবার রাজধানীর জাতীয় ক্যান্সার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
গত ১১ অগাস্ট বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ঢাকার আবুল বাশার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১৭ শিক্ষার্থীকে পরীক্ষামূলকভাবে করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়া হয়েছে। শিশুদের জন্য বিশেষভাবে তৈরি ফাইজারের এই টিকাদান কার্যক্রম পুরোদমে শুরু হবে আগামী ২৫ আগাস্ট।
শুরুতে হাসপাতাল কেন্দ্রে শিশুদের টিকা দেওয়ার কথা জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। শিশুদের টিকার জন্য সুরক্ষা ওয়েবসাইটে গিয়ে নিবন্ধনের সময় কেন্দ্র হিসেবে বিভিন্ন হাসপাতাল বাছাই করতে হত।
সেই সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের কথা জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, স্কুলে টিকা দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। কোন কোন স্কুলে টিকা দেওয়া হবে তা শিক্ষা বিভাগ জানাবে। আমরা সেখানে টিকা নিয়ে যাব। তিনি আরো বলেন, তাদের (শিশুদের) টিকা দেওয়ার জন্য যা যা ব্যবস্থা নেওয়া দরকার আমরা নিয়েছি। প্রথমে সিটি করর্পোরেশন এলাকার স্কুলগুলোয় টিকা দেওয়া হবে। এজন্য স্কুলগুলো প্রস্তুত করা হচ্ছে। স্কুল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, যাতে ছেলেমেয়েরা সঠিক সময়ে অভিভাবকদের সঙ্গে আসে।
সারাদেশে পাঁচ থেকে এগার বছর বয়সী ২ কোটি ২০ লাখ শিশুকে করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নেমেছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে সব শিশু এই টিকাদান কার্যক্রমের আওতায় টিকা পাবে। যে শিশুরা স্কুলে যেতে পারে না, ভাসমান, তারাও টিকা পাবে। টিকা নিতে বড়দের মতই সুরক্ষা প্ল্যাটফর্মের ওয়েব অ্যাপ্লিকেশনে গিয়ে নিবন্ধন করতে হবে শিশুদের। তাদের নিবন্ধন হবে জন্মসনদ দিয়ে।
শিশুদের জন্য ফাইজারের তৈরি ত্রিশ লাখ ডোজের বেশি টিকা এরই মধ্যে দেশে এসেছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন