কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী পৌরসদরে ভৈরব-কিশোরগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে চরিয়াকোনা মোড়ে বিধবা হেলেনা (৪০) এর টং দোকানটি সোমবার গভীর রাতে পুড়ে ছাই হয়ে যায়। বিধবা হেলেনার দাবী এটি নাশকতা। কেউ পরিকল্পিত ভাবে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটিয়েছে। একটি ফ্রিজসহ মালামাল পুড়ে অন্তত দেড় লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে। ইতঃপূর্বে কয়েক বার দোকানের তালা ভেঙে মালামাল লুটের ঘটনাও ঘটেছে। হেলেনা চরিয়াকোনা মহল্লার মৃত মজলু মিয়ার স্ত্রী। দোকান থেকে দেড়/দুশ গজ ভিতরেই তার বাড়ি।
জানা যায়, সোমবার দিবাগত গভীর রাত অনুমান দেড়টার দিকে দোকান ঘরে আগুন লাগার সংবাদ পেয়ে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে আগুন নিয়ন্ত্রনের চেষ্টা করে। প্রায় ঘন্টাখানেক সময় চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রনে আসে। কিন্তু ততক্ষনে আসবাবপত্র, মালামালসহ দোকান ঘরটি পুড়ে ছায় হয়ে যায়। এলাকার বাসিন্দা আসাদ মিয়া জানান, রাতে বিদ্যুৎ না থাকায় গরমে ঘুম আসছিল না। ঘরের বাইরে পাচারি করছিলাম। হঠাৎ আগুনের লেলিহান ধোয়া দেখে সামনে আসি। দেখি দে জ্বলছে। ডাকচিৎকার করে লোক জড়োকরে আগুন নিভানোর চেষ্টা করি।
বিধবা হেলেনা বলেন, দোকানটি আমার স্বামী চালাতেন। ছোট ছোট তিনটি ছেলে মেয়ে রেখে সাত বছর পূর্বে তিনি মারা যান। ছেলে মেয়ে ও বৃদ্ধ শ্বাশুরীকে নিয়ে থাকি। আমার আয় রোজগারের আর কোন উৎস্য না থাকায় অপারগ হয়ে নিজেই দোকানে বসি। পুঁজি না থাকায় ইসলামি ব্যাংক থেকে ক্ষুদ্র ব্যবসার ঋণ নিয়ে দোকানটি চালাচ্ছি। সপ্তাহে ৮শ টাকা কিস্তি দিতে হয়। এরপর যা থাকে তা দিয়ে ছেলে মেয়ের লেখাপড়া এবং সংসার অতি কষ্টে কোন রকম চলে যাচ্ছে। এখন কিস্তি দেয়া এবং সংসার চালানোর মত সামর্থ নাই। না খেয়ে থাকতে হবে। কটিয়াদী পৌর মেয়র শওকত উসমান বলেন, ঘটনা মাত্র শুনেছি। নিঃস্ব পরিবারটিকে যথাসাধ্য সহায়তা দেয়া হবে। বিষয়টি অনুসন্ধান করে প্রকৃত রহস্য উৎঘাটনের জন্য থানা পুলিশকে অবহিত করা হবে। কটিয়াদী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ এসএম শাহাদত হোসেন বলেন, অগ্নিকাণ্ডের কোন সংবাদ পাইনি। অভিযোগ পেলে ঘটনা খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন