মহিলাদের তুলনায় পুরুষদের ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা অনেক বেশি? অন্তত তেমনই জানা যাচ্ছে সাম্প্রতিক একটি গবেষণায়। এই গবেষণা অনুযায়ী, বায়োলজিক্যাল পার্থক্য এবং স্বভাবগত দিক থেকে আলাদা হওয়ার কারণে মহিলাদের ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা পুরুষদের থেকে কম।
আমেরিকান ক্যানসারসোশ্যাইটির জার্নালে এই গবেষণা প্রকাশিত হয়। এই গবেষণা প্রসঙ্গে ডা: সারা জ্যাকসন বলেন, কেন মহিলাদের মধ্যে ক্যানসারের প্রবণতা কম তার নির্দিষ্ট কিছু কারণ রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম কারণগুলি হল ধূমপান, মদ্যপানের অভ্যাস রয়েছে। ন্যাশানাল ইনস্টিটিউট অফ হেলথের এই চিকিৎসক জানান, ৫০ থেকে ৭১ বছর বয়সী মহিলা এবং পুরুষদের মধ্যে একটি সমীক্ষা করা হয়। গবেষণার জন্য এক লাখ ৭১ হাজার ২৭৪ জন পুরুষ এবং এক লাখ ২২ হাজার ৮২৫ জন মহিলার ডায়েট চার্ট নিয়ে গবেষণা করা হয়। সেক্ষেত্রে ১৯৯৫ সাল থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত তাদের ডায়েট এবং খাবার-দাবারের একটি তালিকা সংগ্রহ করা হয়। এর উপর ভিত্তি করে গবেষণা করা হয়েছে।
পুরুষদের মধ্যে ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছেন ১৭ হাজার ৯৫১ জন এবং মহিলাদের মধ্যে আক্রান্তের সংখ্যা আট হাজার ৭৪২ জন। মহিলাদের ক্ষেত্রে স্তন এবং জরায়ুর ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা অনেক বেশি থাকে। খাদ্যনালীতে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা পুরুষদের মধ্যে ১০.৮ শতাংশ বেশি, গলায় অর্থাৎ ভোকাল কডে ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা ৩.৫ শতাংশ বেশি থাকে, গ্যাস্ট্রিক কার্ডিয়াকের সম্ভাবনা বেশি থাকে ৩.৫ শতাংশ।
এই গবেষণার তথ্য বলছে, এক্ষেত্রে পুরুষ এবং মহিলাদের মধ্যে একাধিক তথাৎ লক্ষ্য করা যায়। তা শারীরিকভাবে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার নিরিখে এবং অন্যান্যভাবেও। সেক্ষেত্রে মহিলা এবং পুরুষদের ক্ষেত্রে ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা কমবেশি হয়ে থাকে। উল্লেখ্য, ক্যানসার প্রতিরোধের গবেষণায় অনেকটাই এগিয়েছে বিশ্ব। প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্টেজের ক্যানসারও সেরে উঠছে। কেমো থেরাপির পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের ওষুধ নিয়েও চলছে গবেষণা। তবে স্থায়ীভাবে ক্যানসার থেকে সেরে ওঠার পন্থা এখনও পাওয়া যায়নি। তবে একাধিক গবেষণায় আশাপ্রদ ফল পাওয়া গিয়েছে বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। এই নিয়ে আরও গবেষণা চলছে। সূত্র: বিবিসি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন