বিশ্ব ক্রিকেটকে তাক লাগিয়ে দিয়ে কদিন আগেই ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়েনরা ওয়ানডে ও টি-২০ সিরিজ জিতেছিল বাংলাদেশের বিপক্ষে। সেই সিরিজের দুই সংস্করণে, মোট ৬ ম্যাচের একটা টসেও হারেনি স্বাগতিকরা। হারারে স্পোর্টস গ্রাউন্ডে গতকাল তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথমটিতে টস ভাগ্য আর চাকাভার দিকে মুখ তুলে তাকায়নি। ভারতীয় অধিনায়ক লোকেশ রাহুল জিতে নেন বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত। তাৎক্ষনিক প্রতিক্রিয়াতে চাকাভা বললেন, ‘প্রথম ঘন্টা কিভাবে পার করবে সেই উপায়টা ব্যাটসম্যানদের বের করতে হবে।‘ কথায় আছে, ‘যেখানে বাঘের ভয় সেখানেই রাত্রি হয়’। স্বাগতিক কাপ্তান ম্যাচ শুরুর আগে যা নিয়ে শংকায় ছিলেন, ঠিক সে জায়গাতেই তার দলের ভরাডুবি। ইনজুরি কাটিয়ে দীর্ঘ ৬ মাস পরে মাঠে ফেরা দীপক চাহারের সুইংয়ে ও প্রাসিধ কৃষ্ণার আগুনে বাউন্সসের সামনে ধসে পড়ল স্বাগতিকদের ব্যাটিং লাইনআপ। অষ্টম উইকেট জুটিতে ৭০ রানের সুবাদে ১৮৯ রানের পুঁজি পায় চাকাভার দল। ১১৫ বল হাতে রেখে এবং কোন উইকেট না খুইয়ে হেসে-খেলে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় ভারত। সফরকারীদের বিপক্ষে এটি জিম্বাবুয়ের টানা ১৩তম পরাজয়।
ম্যাচের শুরুতে ব্যাটিংয়ে নেমে সফরকারী বোলারদের সামনে অসহায় আত্মসমর্থন করেন জিম্বাবুয়ের ব্যাটসম্যানরা। চাহার দুই দিকেই বল ঘুরাচ্ছিলেন। সদ্যই তিরিশে পা দেওয়া এই পেসারের শিকারে পরিণত হন স্বাগতিক প্রথম ৩ ব্যাটসম্যান। মাত্র ৩১ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর জিম্বাবুয়েনরা রাজা ও চাকাভার ব্যাটে ঘুরে দাড়ানোর আশা করছিল। কিন্তু বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজ জয়ের নায়ক এদিন আর ‘রাজা’ হয়ে উঠতে পারেননি। চাকাভা যখন ফেরেন তখন দলীয় রান ৭ উইকেটে ১০৭। এরপর ব্র্যাড ইভান্স করেন ৩৩ রান ও এনগারাবা খেলেন ৩৪ রানের ইনিংস। চাহার, কৃষ্ণা ও অক্ষর পান ৩টি করে উইকেট।
জবাব দিতে নামা ভারতের আস্কিং রেট ছিল চারের নিচে। ব্যাটিং স্বর্গে যা তাদের জন্য কোন সমস্যায় তৈরী করেনি। শেখর ধাওয়ান দুটি ৪ মেরে ইনিংসের সূচনা করলে প্রথম পাওয়ার প্লেতে বেশ সাবধানী ছিলেন। একইভাবে খেলতে থাকেন তার সঙ্গী শুভমন গিল। ১৩ তম ওভারে জীবন পেয়ে হাত খুলতে থাকেন ধাওয়ান। এই বাঁহাতি অর্ধশতকের দেখা পান ৭৬ বলে। একই মেইলফলকে পৌঁছাতে গিলের লেগেছিল ৫১ বল। ধাওয়ান ও গিল যথাক্রমে করেন ৮১ ও ৮২ রান। তাদের অবিচ্ছেদ্য ১৯২ রানে ১০ উইকেটের জয় পায় ভারত। আগামীকাল একই মাঠে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে মাঠে নামবে দুই দল।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন