বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

চা শ্রমিকদের ধর্মঘট প্রত্যাহার নতুন মজুরি ১৪৫ টাকা

সাধারণ শ্রমিকদের মধ্যে অসন্তোষ : সমিতি নেতাদের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ

আনোয়ার হোসেন জসিম, শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার) থেকে | প্রকাশের সময় : ২১ আগস্ট, ২০২২, ১২:০০ এএম

চা-শ্রমিকদের নতুন মজুরি ১৪৫ টাকা করার বার্তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশের ১৫৭টি চা বাগানের ২৩২টি ফাঁড়ি বাগানের চা শ্রমিকদের ৩০০ টাকা মজুরির দাবিতে সারাদেশের চা বাগানে ১২তম দিনে অনির্দিষ্টকালের চলমান ধর্মঘটের মধ্যে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।

জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ হাসান ইনকিলাবকে জানান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে চা-শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির বিষয়ে একটি বার্তা আসে। প্রধানমন্ত্রী শ্রমিকদের মজুরি ১৪৫ টাকা করার ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি দেশের বাইরে যাবেন, দেশে ফিরে শ্রমিক ও মালিকদের নিয়ে বসে মজুরির বিষয়ে বিবেচনা করবেন।
এদিকে নেতাদের এই সিদ্ধান্তের পর শ্রম দফতরের সামনেই বিক্ষোভ শুরু করেন সাধারণ শ্রমিকরা। তারা ৩০০ টাকা মজুরির দাবিতে সেøাগান দিতে থাকেন। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত ধর্মঘট চালিয়ে যাওয়ার কথাও জানান তারা। এ সময় সমিতির নেতাদের প্রতিও ক্ষোভ প্রকাশ করেন সাধারণ শ্রমিকরা।

চট্টগ্রাম, সিলেট, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, শ্রীমঙ্গল, শমসেনগনর’সহ সারাদেশে গতকাল সকাল থেকে ধর্মঘটের অংশ হিসেবে চা বাগান এলাকায় মানববন্ধন, সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করছে চা শ্রমিকরা। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী চা শ্রমিকরা গতকাল দুপুরে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধের কারণে দীর্ঘ সময় যান চলাচল বন্ধ থাকে।
বাংলাদেশ চা-শ্রমিক ইউনিয়নের (ভারপ্রাপ্ত) সাধারণ সম্পাদক নৃপেন পাল ৩০০ টাকা মজুরির দাবিতে শ্রমিকদের চলমান কর্মবিরতি প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন। এ সময় তিনি কর্মসূচি পালনকালে গত ১২ দিনের মজুরি, রেশনসহ আনুষঙ্গিক অন্যান্য সুবিধা প্রদানের দাবি জানান। বৈঠকে মৌলভীবাজার-৪ আসনের সংসদ সদস্য উপাধ্যক্ষ আব্দুস শহীদ, শ্রম অধিদফতরের মহাপরিচালক খালেদ মামুন চৌধুরী, মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়াসহ চা-শ্রমিক ইউনিয়নের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, চলতি বছরের জুন মাসে বাংলাদেশ চা-শ্রমিক ইউনিয়ন ও মালিকপক্ষের সংগঠন বাংলাদেশ চা সংসদের বৈঠক হয়। সেখানে শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি ৩০০ টাকা করার প্রস্তাব দেন শ্রমিক নেতারা। কিন্তু মালিকপক্ষ ১৪ টাকা বাড়িয়ে ১৩৪ টাকা মজুরির প্রস্তাব দেয়। যে কারণে শ্রমিক নেতারা তা প্রত্যাখ্যান করেন। এরপর আরও এক মাস পেরিয়ে যায়, মালিকপক্ষ কোনো সিদ্ধান্ত জানায়নি। এর প্রতিবাদে গত ৯ থেকে ১২ আগস্ট পর্যন্ত টানা চার দিন প্রতিদিন দুই ঘণ্টা করে ধর্মঘট পালন করেন। মালিকপক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোনো কথা না বলায় ১৩ আগস্ট থেকে বাংলাদেশের সব চা-বাগানে অনির্দিষ্টকালের জন্য পূর্ণদিবস কর্মবিরতি শুরু করেন চা শ্রমিকরা।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন