দীর্ঘ ৩০ ঘণ্টা অভিযানের পর মুক্ত হয়েছে সোমালিয়ার রাজধানী মোগাদিসুর জনপ্রিয় হায়াত হোটেল। নিরাপত্তাবাহিনীর গুলিতে সশস্ত্র উগ্রপন্থী গোষ্ঠী আল শাবাবের বন্দুকধারীরা নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে সোমালিয়া সরকার।
নিরাপত্তা বাহিনীর কমান্ডারের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, শনিবার প্রায় ৩০ ঘণ্টা পর হোটেলের অবরোধ শেষ হয়েছে।
এর আগে শুক্রবার সন্ধ্যায় জনপ্রিয় হায়াত হোটেলের কাছে দুটি বিস্ফোরণ ঘটায় আল-কায়েদার সহযোগী সশস্ত্র গোষ্ঠী আল শাবাবের সদস্যরা। এরপরই হোটেলে ঢুকে এলোপাথাড়ি গুলি ছোঁড়ে। হামলায় কমপক্ষে ১৩ জন বেসামরিক নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন কয়েক ডজন লোক।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কমান্ডার এএফপিকে বলেন, 'নিরাপত্তা বাহিনী অবরোধ শেষ করেছে এবং বন্দুকধারীরা মারা গেছে। গত এক ঘণ্টায় ভবন থেকে আমাদের কাছে কোনো বন্দুকের আওয়াজ আসেনি।'
তিনি মোট বেসামরিক বা নিরাপত্তার হতাহতের সংখ্যা বা কতজন আল-শাবাব যোদ্ধা নিহত হয়েছে সে সম্পর্কে আর কোনো তথ্য দেননি
তিনি আরও যোগ করেন যে, হোটেল ভবনে কোনো বিস্ফোরক রয়েছে কি না তা খুঁজে দেখা হচ্ছে ও পরিষ্কার করা হচ্ছে।
রাষ্ট্র পরিচালিত সোমালি ন্যাশনাল নিউজ এজেন্সি টুইটবার্তায় বলেছে যে, নিরাপত্তা বাহিনী ভবনটির ৯৫ শতাংশ সুরক্ষিত করেছে। এর কয়েক ঘণ্টা পরই পূর্ণ মুক্ত করার খবর দিয়েছে এএফপি।
সোমালি ন্যাশনাল নিউজ এজেন্সি একটি হোটেল কক্ষের ভিতরে ধ্বংসস্তূপ এবং জানালা দিয়ে উড়িয়ে দেওয়া একটি সৈনিকের একটি ছবি প্রকাশ করেছে এবং আরেকটিতে দেখানো হয়েছে যে, একটি ক্রেন একজন সৈনিককে তিনতলা ভবনের উপরের তলায় তুলে নিয়ে যাচ্ছে।
এএফপি বলেছে যে, টানা দ্বিতীয় রাত অবরুদ্ধ করে রাখা হামলাকারীদের নির্মূল করার জন্য নিরাপত্তা বাহিনী শনিবার গভীর রাতে হোটেলটিতে ভারী অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে গুলি চালিয়েছে।
হামলা শুরু হওয়ার সময় কয়েক ডজন লোক হোটেলে আটকা পড়েছিল। কর্মকর্তারা বলেছিলেন যে ,শিশুসহ কয়েক ডজনকে উদ্ধার করা হয়েছে, তবে অবরোধ শেষ হওয়ার সময় কতজন ভেতরে ছিলেন এবং সর্বশেষ অবস্থা বিস্তারিতভাবে জানানো হয়নি।
হায়াত মোগাদিশুর একটি জনপ্রিয় স্থান, যেখানে অন্যান্য বেশ কয়েকটি হোটেল রয়েছে। আল-শাবাব ১০ বছরেরও বেশি সময় ধরে সোমালি সরকারের পতনের জন্য লড়াই করছে। এই গোষ্ঠীটি দক্ষিণ ও মধ্য সোমালিয়ার অনেক অংশ নিয়ন্ত্রণ করে। সূত্র: আল জাজিরা
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন