নীলফামারীর সৈয়দপুরে এক স্কুল শিক্ষার্থীর বাড়িতে হামলা চালিয়েছে বখাটেরা, স্কুল ও কোচিংয়ে যাওয়ার পথে নিয়মিত উত্যক্ত করার প্রতিবাদ করায় ওই হামলা চালিয়েছে বলে জানা গেছে। ওই ছাত্রী উপজেলার ছমির উদ্দীন আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে দশম শ্রেণীর। বখাটেরা ক্ষিপ্ত হয়ে তার বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুড়, মারধরসহ তার মা ও বৃদ্ধা দাদীকে গুরুত্বরভাবে আহত করা হয়েছে এমন অভিযোগ করেছেন ওই শিক্ষার্থী।
রবিবার (২১ আগস্ট) সকাল ১০ টায় নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার বোতলাগাড়ী ইউনিয়নের উত্তর সোনাখুলী বদিয়তপাড়ায় এই ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় সৈয়দপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে ভুক্তভোগী স্কুল ছাত্রীর মা।
শিক্ষার্থী বলেন, আমি স্কুল ও কোচিংয়ে যাতায়াতের পথে প্রায়ই কিছু বখাটে ছেলে বেশ কিছুদিন যাবত নানা কটু কথা বলে ও অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করে আমাকে উত্যক্ত করে আসছে। অনেক নিষেধ করা সত্বেও তাদের মাত্রা আরও বাড়িয়ে দেয়।
ঘটনার দিন (রবিবার) সকাল সাড়ে ৯ টায় কোচিং থেকে বাড়ি যাওয়ার পথে বুড়ির বাজার কমিউনিটি ক্লিনিক হতে বদিয়তপাড়ার মাঝের দোলায় আমাকে একা পেয়ে নোংরা ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে আলামিন (২০), আলমগীর (১৮) ও আইনুল (১৬)।
এসময় প্রতিবাদ করলে ছোট ছোট আরও কয়েকজন ছেলেকে দিয়ে তারা ফসলী জমি থেকে কাদা তুলে আমার দিকে নিক্ষেপ করায়। এমতাবস্থায় আইনুল কে ধরে গালে থাপ্পড় দিলে সবাই পালিয়ে যায়।
বাড়িতে ফেরার মাত্র আধাঘণ্টা পর আইনুল, আলামিন ও আলমগীর সহ তাদের বাবা সামসুল (৪৫), মা আরজিনা (৩৫), চাচা আইজুল (৪৮), চাচী মোছাঃ ফতে (৩৮) ও তাদের ছেলে মো. মারুফ (২৫) সহ অজ্ঞাতনামা আরও ৪/৫ জন ভাড়াটিয়া লোকজনকে নিয়ে লাঠিসোটা, লোহার রড ও দেশীয় অস্ত্রসহ এসে অতর্কিত হামলা চালায়।
মেয়েটির বৃদ্ধা দাদী ও মা বলেন, তারা দলবদ্ধভাবে অুর্কিতভাবে আমাদের ঘর বাড়িতে ভা্চংুর চালায়। বাধা দিতে গেলে তারা আমাদের উপর চড়াও হয়, ও নানা ধরনের ভয় ভিতিসহ হুমকি প্রদর্শন করেন। এসময় আমাদের চিৎকারে ও চেঁচাচেচি শুনে মেয়ের বাবা এগিয়ে আসলে প্রতিপক্ষরা পালিয়ে যায়।
ছাত্রীটির বাবা আনসার ভিডিপি সদস্য, তিনি বলেন, ঘটনার পরপরই ৯৯৯ নম্বরে কল দিলে পুলিশ থানায় আসতে বলে। তাই সামসুলসহ তার পরিবারের ৭ জনকে আসামী করে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।
সৈয়দপুর থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম জানান, অভিযোগের বিষয়ে এখনেও কিছু জানিনা। তবে লিখিত দিয়ে থাকলে তদন্ত করে সে অনুযায়ী আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এদিকে অভিযুক্তদের বাড়িতে গেলে তাদের কাউকেই পাওয়া যায়নি। তাই ঘটনার বিষয়ে তাদের মন্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন