দেশের অধিকাংশ ব্যাংকেরই এডি (অথরাইজড ডিলার) (আমদানি-রফতানি শাখা) শাখা থাকলেও সেসব শাখার সংখ্যা তুলনামূলক সীমিত। এবার একাধিক নতুন শাখায় বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনের অনুমতি চেয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক বরাবর আবেদন করেছে ২৩টি ব্যাংক। চলমান ডলার সংকট মোকাবিলা ও মানি এক্সচেঞ্জের দৌরাত্ম্য কমাতে এডি শাখা বাড়ানোর গুরুত্ব তুলে ধরে এ আবেদন করেছে ব্যাংকগুলো। গতকাল রোববার বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সম্প্রতি স্থানীয় বাজারে সৃষ্ট ডলার সঙ্কট পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বাংলাদেশ ব্যাংক দেশের ব্যাংকগুলোর কাছে এলাকভিত্তিক তালিকা চেয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে নতুন এডি শাখা নেওয়ার জন্য আবেদনের শেষ সময় ছিল আগস্টের ১৭ তারিখ পর্যন্ত। ওই সময়ের মধ্যে মোট ২৩টি ব্যাংক আবেদন করেছে। এসব ব্যাংকগুলোর শাখার পরিমাণ ৬৬৬টি বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্র। দেশের বাজারে বর্তমানে ডলার বেচাকেনার জন্য ২০০টি এডি শাখা রয়েছে। আর ২৩৫টি মানি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠানের অনুমতি রয়েছে। তবে অবৈধ মানি এক্সচেঞ্জের সংখ্যা এর দ্বিগুণেরও বেশি। নগদ ডলার কেনাবেচার জন্য মানি চেঞ্জার প্রতিষ্ঠানের ওপরই বেশি নির্ভর করেন গ্রাহকেরা। বিশেষ করে প্রবাসী বাংলাদেশি, বিদেশি পর্যটকসহ সাধারণ গ্রাহকরা। আর ব্যাংক থেকে ডলার কিনতে অ্যানডোর্সমেন্ট বাধ্যতামূলক হলেও খোলা বাজারে সে বাধ্যবাধকতা নেই। ফলে মানি এক্সচেঞ্জগুলো নগদ ডলারের বাজারে একক নিয়ন্ত্রণ করছে।
এদিকে অতিরিক্ত ডলার মজুত করে বেশি দামে বিক্রি করার প্রমাণ পাওয়ায় গত ৮ আগস্ট দেশি-বিদেশি ৬টি ব্যাংকের ট্রেজারি বিভাগের প্রধানকে অপসারণ করতে নির্দেশ দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ব্যাংকগুলো হলো-ব্র্যাক ব্যাংক, ডাচ-বাংলা ব্যাংক, সিটি ব্যাংক, প্রাইম ব্যাংক, সাউথইস্ট ব্যাংক এবং বিদেশি খাতের স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক। এছাড়া ডলারের কারসাজি রোধে পাঁচটি মানি চেঞ্জারের লাইসেন্স স্থগিত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে ৪২টি প্রতিষ্ঠানকে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে। এছাড়া ৯টি প্রতিষ্ঠানকে সিলগালা করা হয়েছে। যে প্রতিষ্ঠানগুলো এতদিন লাইসেন্স ছাড়াই ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিল।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন