লা লাগিয়া এ যেন ‘৩৪’ এর ‘কাকতাল’। পরশুরাতে রবার্ত লেভান্দোভস্কি তার ৩৪তম জন্মদিনে করেছেন লিগটির ইতিহাসের দ্রুততম গোল। একই সাথে এটা ছিল বার্সালোনার জার্সিতে তার প্রথম গোল। রিয়াল সোসিয়েদাদ বিপক্ষে গোল করতে সময় নিয়েছেন মাত্র ৪৪ সেকেন্ডে। আগের রেকর্ডটি অক্ষত ছিল ৪৮ বছর। মালিক ছিলেন ফানার্ন্দো আনসেলো।মজার ব্যাপার হচ্ছে তিনি ছিলেন সোসিয়েদাদের প্লেয়ার। আর কাকতাল হচ্ছে বিলবাওয়ের বিপক্ষে গোলটির দিন তার বয়সও ছিল ‘৩৪’। এখানেই শেষ নয়। বার্সালোনার হয়ে এর আগে জন্মদিনে সর্বশেষ গোল করেছিলেন রোনালদো নাজারিও। ১৯৯৬ সালে ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার কোন প্রতিপক্ষের বিপক্ষে গোল করেছিল জানেন? রিয়াল সোসিয়েদাদ! এতো কাকতালে জড়িয়ে থাকা ম্যাচটিতে লেভান্দোভস্কির দল জেতে ৪-১ ব্যবধানে। ম্যাচে দুই গোল করেন পোলিশ গোলমেশিন। লা মেসিয়া গ্রেজুয়েট ব্লাদের পাসে লেভান্দোভস্কির গোলে বার্সালোনা লিড নেয়। ম্যাচের ৬ মিনিটের সময় ঘরের দলকে সমতায় ফেরান ইস্কা। প্রথমার্ধে এরপর কোন দলই আর গোলের দেখা পায়নি। ওস্মান দেম্বেলে আবারও সফরকারীদের এগিয়ে দেন। বলের যোগানদাতা আনসু ফাতির। এই স্প্যানিশ বিষ্ময় বালক ৬৮ মিনিটে পোলিশ স্ট্রাইকারের দ্বিতীয় গোলেরও কারিগর। আর দ্বিতীয়ার্ধের নির্ধারিত সময়ের ১১ মিনিট আগে নিজেই গোল করে দলকে ৪-১ ব্যবধানে জয়ে সাহায্য করেন ফাতি। এই জয়ের ফলে ২ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের ৫মস্থানে অবস্থান কাতালান জায়ান্টদের।
এদিকে ফ্রেঞ্চ লিগ ওয়ানে লেভন্দোভস্কিকেও ছাড়িয়ে গেলেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। লিলের মাঠে গিয়ে ফ্রান্স ফুটবলের প্রাণভোমরা গোল করতে নিলেন মাত্র ৮ সেকেন্ড! আর এই অসাধারণ গোলের এসিস্টটি আসলো আর্জেন্টাইন তারকা লিওনেল মেসির পা থেকে। ফ্রেঞ্চ লিগের নাম লিগ ওয়ান হওয়ার পর এমবাপ্পের ৮.৩ সেকেন্ডে করা গোলটিই দ্রুততম। তবে ১৯৯২ সালে ১৫ ফেব্রুয়ারি কানের বিপক্ষে ৭.৯ সেকেন্ডে গোল করেন কায়েনের মিশেল রিও। তখনও অবশ্য ফ্রান্সের শীর্ষ পর্যায়ের লিগটির নামকরণ লিগ ওয়ান করা হয়নি। পর্তুগীজ ল্যাফটব্যাক মেন্ডিসের পাস থেকে ম্যাচের ২৭ মিনিটে মেসি নিজেও স্কোরশিটে নাম তুলেন। প্যারিসের এই দুই তারকা গোল করলে নেইমারই বা কেন বাদ যাবেন? ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার গোল করলেন দুটি। অল্পের জন্য হ্যাটট্রিক মিস করলেও এসিস্টের হ্যাটট্রিক ঠিকই পূরণ করেছেন নেইমার। এমবাপ্পের ৩টি, নেইমারের দুটি ও মেসির এক গোলের সাথে আরেকটি গোল করেন আশফাক হাকিমী। তাতেই লিলেকে ঘরের মাঠে ৭-১ গোলের লজ্জা দেয় গালতিয়েরের দল।
এদিকে বুন্দেসলীগায় বোহমের বিপক্ষে ৭-০ ব্যবধানে জিতেছে বায়ার্ন মিউনিখ। ম্যাচের ৭৬ মিনিট পর্যন্ত এক নাগারে গোল করে গেলেন বাভারিয়ান ফুটবলাররা। এই গোলোৎসব শুরু হয় ৪র্থ মিনিটে। সানে গোল করে গোলের সূচনা করেন। এরপর ডি লিট, কোম্যানসহ নেভরিও গোল দেখা পান। তবে বায়ার্নপ্রেমীরা চেয়ে ছিলেন মানের দিকে। এই সেনেগালজও দুই গোল করে নিরাশ করেননি সমর্থকদের। এতো কিছুর পর বায়ার্ন কোচ নাগেলসম্যান প্রশংসায় ভাসালেন দলে বাত্য হয়ে যাওয়া সানেকে, ‘সানে ইউরোপের সেরাদের একজন। সে ক্ষিপ্র, ড্রিবলিংয়ে দারুণ এবং সময়জ্ঞান ও অসাধারন। তাকে নিয়ে অনেক সমালোচনা হয়েছে। তবে আমি পরিষ্কার করে বলি, সে আমাদের সাথেই থাকছে।’
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন