শেষ ৩৬ বলে নেদারল্যান্ডসের দরকার ছিল ৩৮ রান। হাতে ছিল ৫ উইকেট এবং সেট হয়ে যাওয়া ব্যাটসম্যান টম কুপার। রটারডামে এমন ম্যাচটাই ৯ রানে হেরে বসল স্বাগতিকর ডাচরা। বলা ভাল তারা পরাজিত হয়েছে ‘আনপ্রেডিক্টেবল’ পাকিস্তানের অভিজ্ঞতার কাছে। পাক দুই পেসার নাসিম শাহ ও মোহাম্মদ ওয়াসিম যুগ্মভাবে নায়ক এই ম্যাচের। এই পেস জুটি মিলে পরশুরাতে প্রতিপক্ষের ৯ উইকেট তুলে নিয়েছিলেন। টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ২ বল বাকি থাকতেই ২০৬ রনে অলআউট হয় চার পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নামে পাকিস্তান। ছোট রানের লক্ষ্য সফলতার সাথে পার করার ইঙ্গিত দেওয়া ডাচরা শেষ পর্যন্ত ১৯৭ রানে থামে সবকটি উইকেট খুইয়ে। ম্যাচ সেরা হন ৫ উইকেট শিকার করা নাসিম। অন্যদিকে এই সিরিজ ৩-০ ব্যবধানে জিতে ওয়ানডে সুপার লিগের টেবিলে ৩ নাম্বারে উঠে আসল বাবরের দল। ১৮ ম্যাচ শেষে সমান ১২০ পয়েন্ট অর্জন করেও, নেট রান রেটে পিছিয়ে থাকায় টেবিলে বাংলাদেশের পরে অবস্থান পাকিস্তানের। নেদারল্যান্দসের বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে প্রথম থেকেই সমস্যায় পড়ে সফরকারীরা। অভিষিক্ত আবদুল্লাহ সফিক আউট হন মাত্র ২ করে। দারুন খেলা অধিনায়ক বাবরের ক্যারিয়ারের ১৮তম শতক হাতছাড়া হয় মাত্র ৯ রানের জন্য। ১২৫ রানের ইনিংসটিতে ছিল ৭টি চার ও ২টি ছক্কা। পাকিস্তানের মোট রানের প্রায় ৪৫ শতাংসই আসে ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে থাকা এই ব্যাটসম্যানের কাছ থেকে। ফকর, সালমান ও নাওয়াজ রান পেলেও কেউ ৩০ ছাড়াতে পারেননি। ডাচদের হয়ে বাস লিডে পান ৩ উইকেট এবং ভিভিয়ান কিংমারের শিকার ১টি।
রান তাড়া করতে নেমে নাসিম ও ওয়াসিমের বোলিং আগুনের সামনে ৩৭ রানে ৩ উইকেট হারায় ডাচরা। তবে চতুর্থ উইকেটে বিক্রমজিৎ ও কুপারের ৭১ রানের জুটিতে জয়ের কক্ষপথে থাকে স্বাগতিকরা। দ্রুত দুই উইকেট যাওয়ার পর কুপার আবারও নিদামানুরুর সঙ্গে ৫৬ রানের জুটি গড়লে হার চোখ রাঙ্গাছিল সফরকারীদের। তবে পাকিস্তানের পেস জুটির ছিল হার না মানা মনোভাব। শেষ ১২ বলে স্বাগতিকদের প্রোয়োজন ছিল ১৮ রান। হাতে ৩ উইকেট থাকা স্বত্তেও সেই লক্ষ্যে পৌঁছাতে ব্যর্থ অনভিজ্ঞ ডাচরা। এই সিরিজে অভিষিক্ত নাসিম ৩ ম্যাচে পেয়েছেন ১০ উইকেট। তাতেই তিনি পিছনে ফেলে দিলেন এতোদিন শীর্ষে থাকা পাক লেজেন্ড আব্দুল কাদিরের প্রথম ৩ ম্যাচে ৯ উইকেট পাওয়ার রেকর্ড।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন