মঞ্চ ভিন্ন, তবে সংস্করণ তো একই। তাই এশিয়া কাপের আগে ঘুরে ফিরে আসছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেই ম্যাচ। যেখানে বিশ্ব আসরে ভারতের বিপক্ষে প্রথম জয় পেয়েছিল পাকিস্তান। এশিয়া কাপে তাদের সঙ্গী দাপুটে সেই জয়ের আত্মবিশ্বাস। দলটির কিংবদন্তি পেসার ওয়াসিম আকরামের মতে, এখন ভারতকে যেকোনো দিন হারাতে প্রস্তুত তার উত্তরসূরিরা।
বিশ্বকাপে ভারতের মুখোমুখি হলেই যেন পথ হারিয়ে ফেলত পাকিস্তান। বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় চির প্রতিদ্বন্দ্বীদের বিপক্ষে প্রথম ১২ ম্যাচে ছিল জয়শূন্য। ব্যর্থতার চক্র ভাঙে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সবশেষ আসরে। গত বছর সংযুক্ত আরব আমিরাতে সুপার টুয়েলভের ম্যাচে পায় রেকর্ড গড়া জয়। ভারতের দেওয়া ১৫২ রানের লক্ষ্য বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ানের উদ্বোধনী জুটিতেই পেরিয়ে যায় পাকিস্তান। টি-টোয়েন্টিতে সেটাই তাদের প্রথম ১০ উইকেটের জয়। এশিয়া কাপেও পাকিস্তানের বিপক্ষে লড়াইয়ে এগিয়ে ভারতই। টুর্নামেন্টে দুই দলের ১৪বারের দেখায় ভারতের জয় ৮ ম্যাচ, পাকিস্তানের জয় ৫টিতে। একটি ম্যাচ হয়েছে পরিত্যক্ত।
এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের প্রতিযোগিতায় এবার দ্বিতীয় দিন মুখোমুখি হবে ভারত ও পাকিস্তান। হাই-ভোল্টেজ ম্যাচটি মাঠে গড়াবে আগামী রোববার। স্টার স্পোর্টসের একটি মিডিয়া সেশনে মঙ্গলবার পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক ওয়াসিম বলেন, বাড়তি আত্মবিশ্বাসে এই ম্যাচে এগিয়ে থাকবে তার উত্তরসূরিরা, ‘গত কয়েক বছর ধরে পাকিস্তান দল উন্নতি করছে। তারা ধারাবাহিকভাবে ভালো করে যাচ্ছে। আমার মনে হয়, বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে জয়, যদিও সেটা এক বছর আগে, তাদেরকে বাড়তি আত্মবিশ্বাস দিয়েছে ভারতের বিপক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার।’
ভারতের বিপক্ষে আসছে ম্যাচে জয় নিয়ে আশাবাদী ওয়াসিম অবশ্য চিন্তিত পাকিস্তানের ব্যাটিং লাইন আপ নিয়ে। টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানরা দুর্দান্ত ফর্মে থাকলেও মিডল-অর্ডার ভাবাচ্ছে তাকে। সবশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত টি-টোয়েন্টিতে দলটির ৬৭.৫৩ শতাংশ রানই করেছে টপ-অর্ডার ব্যাটসম্যানরা। যেখানে রয়েছেন বাবর, রিজওয়ান ও ফখর জামানরা, ‘স্রেফ একটা বিষয় নিয়ে চিন্তিত, তা হলো মিডল-অর্ডার। চার নম্বরে ইফতেখার আহমেদ ছাড়া মিডল-অর্ডারে অভিজ্ঞ কেউ নেই। এরপর সম্ভবত থাকবে হায়দার আলি, তরুণ সেনসেশন যে ধারাবাহিক নয়। টি-টোয়েন্টি সংস্করণে বাবর আজম ও রিয়াওয়ানই মূল। আমার মনে হয়, সামগ্রিকভাবে তারা আত্মবিশ্বাসী। তবে এটা নির্ভর করছে, ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের আগে সেখানে পৌঁছানোর পর তারা কেমন অনুভব করছে বা কেমন মানসিকতায় আছে। কারণ ওই ম্যাচটি এশিয়া কাপে দুই দলেরই গতিপথ ঠিক করে দিতে পারে।’
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন