থাইল্যান্ডের সাংবিধানিক আদালত গত দুই দশকে দুটি নির্বাচনের ফলাফল বাতিল করেছে, তিনটি বিরোধী রাজনৈতিক দল ভেঙে দিয়েছে এবং সমকামিতাকে ‘প্রাকৃতিক নিয়মের বিরুদ্ধে’ বলে ঘোষণা করেছে। আদালতের এসব সিদ্ধান্ত দেশটির শাসন ক্ষমতায় সেনাবাহিনীর দখল নিশ্চিতে সাহায্য করেছে। সর্বশেষ থাইল্যান্ডের সাংবিধানিক আদালত ২৪ আগস্ট ৬৮ বছর বয়সী প্রাক্তন জেনারেল প্রয়ুথ চাং-ওচা, যিনি ২০১৪ সালে এক সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে থাইল্যান্ডের ক্ষমতা গ্রহণ করেছিলেন, তাকে প্রধানমন্ত্রী হিসাবে বরখাস্ত করেছে।
আদালত প্রয়ুথের শাসনের বিরুদ্ধে বিরোধী দলের আবেদনের শুনানি করে নির্দেশ দিয়েছে, ‘প্রধানমন্ত্রী মোট আট বছরের বেশি অফিসে থাকবেন না’। প্রয়ুথ ২০১৪ সালের ২৪ আগস্ট থেকে এই পদে অধিষ্ঠিত রয়েছেন। তবে, তিনি প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসাবে বহাল থাকবেন। থাইল্যান্ডের অন্যতম বয়স্ক জেনারেল এবং ছয় ডেপুটির শীর্ষ নেতা প্রবিত ওংসুওয়ান প্রয়ুথের পরিবর্তে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
অনেকে বলছেন, সোবাহিনী নিয়ন্ত্রিত আদালত থাইল্যান্ডের নেতৃত্বের জন্য একজন প্রাক্তন জেনারেলকে অন্য আরেক জেনারেল দিয়ে প্রতিস্থাপন করলেও দেশটির গণতন্ত্রের আন্দোলন কর্মীদের মুখ বন্ধ করতে অনেক সময় লাগবে।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালেও দেশটির নির্বাচনগুলোতে ভোট গণনায় বিধিনিষেধমূলক নিয়ম এবং অনিয়মের দ্বারা বেষ্টিত ছিল এবং এখনও যে কোনো ক্ষেত্রে সেনাবাহিনীর নিযুক্ত একটি সিনেট নির্বাচিত আইন প্রণেতাদের ওপর ভেটো দেয়ার ক্ষমতা রাখে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন