থাইল্যান্ডে সাম্প্রতিক জনমত জরিপ অনুসারে, ৬০ শতাংশেরও বেশি থাই নাগরিক চায় সরকার সংসদ ভেঙে দিক এবং আগাম নির্বাচন আহ্বান করুক। বর্তমানে দেশটির সাংবিধানিক আদালত বরখাস্ত প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুথ চ্যান-ওচার ভবিষ্যত বিবেচনা করছে।
৬৮ বছর বয়সী প্রায়ুথ চান ওচাকে গত মাসে দায়িত্ব থেকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে দেশটির সাংবিধানিক আদালত। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ওচার আট বছরের মেয়াদ শেষ হওয়া না হওয়ার বিষয়টি পর্যালোচনার (রিভিউ) জন্য বিরোধীদের করা পিটিশনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালতের পক্ষ থেকে এ আদেশ দেয়া হয়ে। স্থগিতাদেশের ফলে উপ-প্রধানমন্ত্রী প্রবিত ওংসুওয়ানকে দেশটির ভারপ্রাপ্ত নেতা হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন এবং প্রয়ুথ প্রতিরক্ষা মন্ত্রী হিসাবে মন্ত্রিসভায় রয়ে গেছেন।
ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ডেভেলপমেন্ট অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এনআইডিএ) দ্বারা গত ৫-৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে পরিচালিত ১,৩১২ জনের সমীক্ষায় দেখা গেছে যে, ৬৩ দশমিক ৮ শতাংশ মানুষ মনে করে সংসদ ভেঙে দেয়া উচিত এবং আগাম নির্বাচনের ডাক দেয়া উচিত। যেখানে ১৩ দশমিক ৯৫ শতাংশ মানুষ এ বিষয়ে একমত নয়। রোববার প্রকাশিত এ জরিপের ফলাফলের বিষয়ে মন্তব্য করার জন্য রয়টার্সের অনুরোধের জবাব দেননি একজন সরকারী মুখপাত্র।
সংবিধান অনুসারে, থাইল্যান্ডের পরবর্তী নির্বাচন ২০২৩ সালের মে মাসের মধ্যে হওয়ার কথা, তবে সংসদ ভেঙে দিলে ভোট আগে হতে পারে। ২০১৪ সালে থাইল্যান্ডে নির্বাচিত সরকারকে উৎখাতে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন প্রায়ুথ। ২০১৯ সালে সেনাবাহিনী খসড়াকৃত নতুন সংবিধানের আওতায় অনুষ্ঠিত নির্বাচনে তিনি দেশটির বেসামরিক প্রধানমন্ত্রী হন।
সেনা প্রবর্তিত নতুন সংবিধান অনুযায়ী, প্রায়ুথ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দুই মেয়াদে সর্বোচ্চ আট বছর ক্ষমতায় থাকতে পারবেন। বিরোধীরা বলছেন, চলতি মাসেই সে মেয়াদ শেষ হচ্ছে। আদালত এখনও তার চূড়ান্ত রায়ের জন্য একটি তারিখ নির্ধারণ করেনি তবে প্রয়ুথ এবং বিরোধের সাথে জড়িতদের মামলায় প্রমাণ জমা দিতে বলেছে। সূত্র: র্যাপলার, রয়টার্স।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন