বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

শিশুদের ওপর হামলার ঘটনায় থাইল্যান্ডজুড়ে শোক

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৭ অক্টোবর, ২০২২, ৩:৫৫ পিএম

থাইল্যান্ডে একটি প্রি-স্কুলের ডে কেয়ার সেন্টারে ভয়াবহ বন্দুক ও ছুরি হামলায় ২৩ শিশুসহ ৩৭ জন নিহতের ঘটনায় শোকে মুহ্যমান পুরো দেশ। শোকার্ত স্বজনদের আহাজারিতে ভারী হয়ে উঠছে পরিবেশ। শোক প্রকাশে থাইল্যান্ডজুড়ে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়েছে।
বিবিসির প্রতিবেদনে জানা যায়, স্থানীয় হাসপাতালের মর্গের সামনে শোকার্ত অভিভাবক-স্বজনদের ভিড়। সেখানে সারিবদ্ধভাবে রাখা হয়েছে স্বর্ণখচিত সাদা আর গোলাপি রঙের ছোট্ট ছোট্ট কফিন। এ ছাড়া বাচ্চার খেলনা, কম্বল ও দুধের বোতল হাতে নিয়ে কাঁদতে কাঁদতে ডে কেয়ার সেন্টারের বাইরে জড়ো হয়েছেন অনেক অভিভাবক।
বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলের নং বুয়া লাম্ফুর একটি শিশু ডে কেয়ার সেন্টারে মর্মান্তিক এই হামলার ঘটনা ঘটে। বন্দুকধারী প্রথমে ডে কেয়ার সেন্টারের কয়েকজন কর্মীকে গুলি করে, যাদের মধ্যে একজনে অন্তঃসত্ত্বা নারী ছিলেন। এরপর ঘুমন্ত অবস্থায় থাকা দুই বছরের কম বয়সী অন্তত ২৩ শিশুকে হত্যা করে।
একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, দুপুরের খাবারের সময় হামলাকারী চড়াও হয়ে প্রথমেই ডে কেয়ার সেন্টারের চার-পাঁচজন কর্মীকে গুলি করে। এরপর যে ঘরে শিশুরা ঘুমাচ্ছিল, সেই ঘরে ঢুকে একের পর এক শিশুকে ছুরি দিয়ে জখম করতে থাকে হামলাকারী।
পুলিশ বলছে, ৩৪ বছর বয়সী হামলাকারী এই হত্যাকাণ্ডের পর নিজের সন্তান ও স্ত্রীকে হত্যা করে আত্মহত্যা করেছেন। হামলার উদ্দেশ্য এখনো জানা যায়নি। তবে পুলিশ জানিয়েছে, মাদক সেবনের অপরাধে হামলাকারীকে জুন মাসে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছিল।
থাইল্যান্ডের স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হামলাকারী পুলিশ কর্মকর্তা ছিলেন। তাঁকে সম্প্রতি মাদককাণ্ডে বরখাস্ত করা হয়। তবে শিশুদের ওপর কেন এমন নৃশংস হত্যাকাণ্ড চালানো হলো, সে বিষয়ে এখনো নিশ্চিত হয়ে কিছু জানা যায়নি।
থাইল্যান্ডে এমন গোলাগুলির ঘটনা বিরল। এর আগে ২০২০ সালে নাখোন রাতচাসিমা শহরে এক সেনাসদস্য ২৯ জনকে হত্যা করেছিল। এ সময় আহত হয়েছিলেন অর্ধশতাধিক মানুষ। সূত্র : বিবিসি

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন