সোমবার ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

ফতুল্লার আকবর নগরে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, ককটেল বিস্ফোরণ,গুলি

নারায়ণগঞ্জ থেকে স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৯ আগস্ট, ২০২২, ৩:২৭ পিএম

ফতুল্লার আকবর নগরে দুই গ্রুপের মাঝে দফায় দফায় হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।সোমবার (২৯ আগস্ট) সকাল থেকে সামেদ আলী বাহিনী ও শওকত আলী চেয়ারম্যানর আর্শীবাদপুস্ট জাকির বাহিনীর মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার মধ্য দিয়ে সংঘর্ষ চলতে থাকে।
সংবাদ পেয়ে পুলিশ সকাল নয়টার দিকে সেখানে গেলে তাদের উপর ককটেল বিস্ফোরনসহ ইট, টেটা ছুড়ে মারে জাকির বাহিনী। এসময় পুলিশ আতœরক্ষার্থে ২০ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে ফতুল্লা মডেল থানার ইনচার্জ শেখ রিজাউল হক দিপু জানান, পূর্বের রেশ ধরে সামেদ আলী বাহিনীর সাথে বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শওকত আলীর সমর্থিত জাকির গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উভয় গ্রুপ কে ধাওয়া করে ছত্রভঙ্গ দিলে সামেদ আলী বাহিনী পিছু হটে যায়।
তবে একটি পরিত্যাক্ত ইট ভাটার ভিতর থেকে চেয়ারম্যান সমর্থিত জাকির বাহিনী পুলিশের উপর ককটেল ছুড়ে মেরে বিস্ফোরন ঘটায় একই সাথে টেটা ও ইটের সুরকি ছুড়ে মারে পুলিশ সদস্যদের উপর।
এ সময় পুলিশ আতœরক্ষার্থে ২০ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে। তবে কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি বলে তিনি জানান। পরিস্থিতি আপাতত নিয়ন্ত্রণে থাকলে ও জাকির বাহিনী ইট ভাটার ভিতরে থেকে আক্রমন করছে।
উল্লেখ্য যে গত মঙ্গলবার শওকত চেয়ারম্যানের বাড়িতে সামেদ আলী বাহিনী হামলা চালিয়ে নারী সহ অন্তত ৬জনকে মারধর করে আহত করে। এসময় চেয়ারম্যানের ভাতিজার বাড়ি ভাংচুর করা হয়।
জানাযায়, ফতুল্লার একটি ভয়ঙ্কর এলাকার নাম আকবরনগর। এ এলাকায় ইট খোলায় চাঁদাবাজী ও প্রভাব বিস্তার নিয়ে সামেদ আলী ও রহিম হাজী নামে দুটি গ্রুপের মধ্যে প্রায় সময় সংঘর্ষ হয়। এতে একাধিক হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে।
এদের মধ্যে সামেদ আলী গ্রুপকে সরাসরিই স্থানীয় বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সওকত আলী শেল্টার দিতেন। তার শেল্টারের কারনে আকবরনগরসহ বক্তাবলী ইউনিয়নে মাদক ব্যবসা, ইটখোলায় চাঁদাবাজীসহ নানা ধরনের অপরাধে ব্যাপরোয়া হয়ে উঠে সামেদ আলী বাহিনী।
এলাকাবাসী জানান, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সওকত চেয়ারম্যানের বাড়িতে সামেদ আলী বাহিনীর লোকজন হামলা চালিয়ে বাড়ি ঘর ভাংচুর করেছে। এসময় প্রতিবাদ করায় শওকত চেয়ারম্যানের ভাতিজার স্ত্রীসহ অন্তত ৬জনকে মারধর করেছে।
সে সময় সামেদ আলী জানান, কিছুই হয়নি। একটু বাগবিতন্ড হয়েছে। চেয়ারম্যানের ভাতিজা একটু বাড়িয়ে বলেছে। সেই চায় এলাকার লোকজনের সঙ্গে ঝগড়া ঝাটি করতে। আমার লোকজনদের আমি শান্ত থাকতে বলেছি।
অপরদিকে বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শওকত আলী জানান, বক্তাবলী বাজারের এক দোকানদারের কাছ থেকে বেশ কয়দিন আগে এক হাজার টাকা ধার নিয়ে সামেদ আলীর লোকজন আরেক মাদক বিক্রেতাকে দিয়েছে। সেই টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে আমার আত্মীয় স্বজনদের সঙ্গে তর্ক হয়।
এনিয়ে কয়েকশ লোকজন নিয়ে দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র হাতে আমার বাড়িতে হামলা চালায় সাদেম আলী বাহিনী। তখন আমার ভাতিজার বাড়ি ভাংচুর করেছে। প্রতিবাদ করায় আমার ভাবি, ভাতিজা ও ভাতিজার স্ত্রীসহ ৬/৭ জনকে মারধর করেছ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন