ফতুল্লায় গ্যাসলাইন লিকেজ থেকে বিস্ফোরণের ঘটনায় মোছা. সুখী আক্তার নামের ২৫ বছর বয়সী একজনের মৃত্যু হয়েছে।সোমবার ভোর ৬টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আবাসিক সার্জন এস এম আইউব হোসেন হোসেন।
২৬ ফেব্রুয়ারি দুপুর ১টার দিকে ফতুল্লার রামারবাগ এলাকায় ভাড়া বাসায় এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে সুখী আক্তারের শরীরের ৯৮ শতাংশ দগ্ধ হয়। সুখী ছাড়া দগ্ধ হন তার স্বীমা মো. আল-আমিন (৩০)। এছাড়া মোছা. আলেয়া বেগম (৬৫), তার ছেলে জামাল উদ্দিন (৪৫) ও রাজমিস্ত্রী রফিক (৩৫) দগ্ধ হন। দগ্ধ অবস্থায় তাদের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নেওয়া হয়। বর্তমানে সেখানে তারা চিকিৎসাধীন
দগ্ধ আল-আমিনের চাচাতো ভাই মো. রাসেল জানান, আল-আমিন ও তার স্ত্রী সুখী আক্তার পোশাকশ্রমিক। তিনি নিজেও একজন পোশাকশ্রমিক। দুপুরে বাসায় এসে রান্না করার সময় চুলায় ম্যাচ ফায়ার করতেই পুরো কক্ষে আগুন ধরে যায়। এতে তারা দুজন এবং আশপাশের আরও তিনজন দগ্ধ হন। পরে তাদের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্নে নেওয়া হয়।তিনি জানান, দম্পতির একটি ছেলে সন্তান রয়েছে।
ডা. এসএম আইউব হোসেন জানান, আল-আমিনের শরীরের ৯৫ শতাংশ। তার অবস্থাও আশঙ্কাজনক। এছাড়া রফিকের শরীরের ১২ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। বাকি দুজন আলেয়া ও জামাল জরুরি বিভাগে চিকিৎসাধীন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন