বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আন্তর্জাতিক সংবাদ

তৃণমূল নেতার সম্পত্তি নিয়ে পোস্টার হাঁড়িভরা সোনা, গোলাভরা টাকা!

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৩১ আগস্ট, ২০২২, ১২:০০ এএম

ভারতের বীরভূমে অনুব্রত মন্ডল এবং তার ঘনিষ্ঠ ও অনুগামীদের নামে প্রচুর সম্পত্তির হদিস পাওয়া গেছে বলে দাবি তদন্তকারীদের। সেই আবহেই দুই তৃণমূল নেতার সম্পত্তি বৃদ্ধি নিয়ে অভিযোগ তুলে পোস্টার লাগানোর ঘটনা বিষয়টিকে অন্য মাত্রা দিয়েছে। যার ছবি দিয়ে কয়েক দিন আগেই ‘নতুন তৃণমূলের’ ঘোষণা করা হোর্ডিং দেখা গেছে, সেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়েরও দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে ওই পোস্টারে। গত রবিবার দুবরাজপুরের যশপুর অঞ্চল তৃণমূলের সভাপতি মুন্সি মোজাম্মেল হক ওরফে কাঞ্চন এবং দুবরাজপুর পঞ্চায়েত সমিতির ভূমি কর্মাধ্যক্ষ পরিমল সৌ-এর সম্পত্তি বৃদ্ধি নিয়ে কটাক্ষ করে পোস্টার পড়ে এলাকায়। অভিষেকের পাশাপাশি দলের দুবরাজপুর বøক সভাপতি ভোলানাথ মিত্রকে উদ্দেশ্য করে লেখা পোস্টারে অভিযোগ করা হয়, ওই দুই নেতার বিপুল সম্পত্তি বৃদ্ধি দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করছে। ঘটনাচক্রে ওই দুই নেতাই পশ্চিমবঙ্গে পালাবদলের পরে বাম-শিবির থেকে ঘাসফুলে নাম লিখিয়েছেন। কারা পোস্টার দিল, সে রহস্য কাটেনি। কিন্তু, তৃণমূলের একাংশের দাবি, এই কাজ দলে বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠীর হতে পারে। পোস্টারে দাবি করা হয়, শেখ কাঞ্চনের ৮০ লাখ টাকার বিলাসবহুল বাড়ি, ২৭ লাখ টাকার আমবাগান, ৪টি পুকুর ও ১৭ বিঘা জমি রয়েছে। পরিমলের বাড়িতে নাকি হাঁড়ি ভর্তি সোনা, গোলা ভর্তি টাকা রয়েছে। কাঞ্চন বলেন, সম্পত্তি আমার দাদুর। তিনি এবং আমার বাবা মারা যাওয়ার পরে উত্তরাধিকার সূত্রে সেই সম্পত্তির মালিক আমি। কোনো অনিয়ম হয়নি। পরিমলেরও দাবি, কোনো অন্যায় করিনি। সম্পত্তি পারিবারিক। বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, তৃণমূলের নেতা হওয়ার সুবাদেই ক্রমে দাপট বেড়েছে ওই দুই নেতার। এক সময়ের বাম কর্মী কাঞ্চন গাড়ি চালাতেন। ২০১১ সালে পালাবদলের আগেই তৃণমূলে আসেন। তার স্ত্রী জেলা পরিষদের শিশু ও নারী কল্যাণ কর্মাধ্যক্ষ। স্থানীয় সূত্রের দাবি, ২০১৬ সালের পরই তার পারিবারিক জমিতে আমবাগান হয়, বাড়িতে মার্বেল বসে। সাবেক বাম কর্মী পরিমলও তৃণমূলে এসে ২০১৩ সালে যশপুর পঞ্চায়েতের উপপ্রধান হন। পরেরবার পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ হন পরিমল। তার সম্পত্তিও এলাকায় চর্চার কেন্দ্রে। দলের ভেতরের খবর, পঞ্চায়েতের আগে স্বচ্ছ ভাবমূর্তির কর্মী খোঁজার কাজ এরই মধ্যে শুরু হয়েছে। কাঞ্চন ও পরিমলের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যদিও তৃণমূলের জেলা সহ-সভাপতি তথা মুখপাত্র মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, অভিযোগ উঠলেই হলো না। সত্যতা আছে কি না, যাচাই করা হবে। আনন্দবাজার।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন