যশোর জেলা বিএনপি নেতা অনিন্দ্য ইসলাম অমিতের ফেসবুক লাইভে গৃহযুদ্ধের ঘোষণা দেয়ার পর সাত কেজি বিস্ফোরক নিয়ে এসেছেন বলে দাবি করেছে যশোর জেলা যুবলীগ। মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) দুপুরে প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এই দাবি করা হয়। একই সাথে তাদের যে কোনো কর্মসূচি প্রতিহত করার ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন বিপুল।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, গত রবিবার দুপুরে ফেসবুক লাইভে বিএনবির খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত বর্তমান সরকারের সমালোচনা করে গৃহযুদ্ধের ডাক দেন। এর আগে শনিবার গভীর রাতে অপর এক ফেসবুক লাইভে তিনি যুবলীগ ও ছাত্রলীগকে সন্ত্রাসী উল্লেখ করে তাদের হত্যার হুমকি দেন।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, তারা ২০১৩ সালের ন্যায় আগুন সন্ত্রাস করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। অমিতের গৃহযুদ্ধের ডাকের পর যুবদল নেতা রানা ও কবির নামে দুইজনকে বিস্ফোরক আনার দায়িত্ব দেয়া হয়। ইতিমধ্যে তারা যশোরে সাত কেজি বিস্ফোরক নিয়ে এসেছে। যা ২০১৩ সালের ন্যায় আগুন সন্ত্রাসের মতো দেশবিরোধী কাজে ব্যবহার করা হবে বলে আমরা আশঙ্কা করছি।
লিখিত বক্তব্যে আরো বলা হয়, আওয়ামী লীগ এমন একটি রাজনৈতিক দল যার কর্মীরা মহান মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে দেশের জন্য বার বার জীবন দিয়েছেন। কিন্তু কোনো অপশক্তির কাছে মাথা নত করেনি। আমরাও যশোর যুবলীগ ঘোষণা করছি, যশোরে অমিতকে কোনো অপকর্ম করতে দেয়া হবে না। তার সকল ষড়যন্ত্র প্রতিহত আমরা করবো। তার পক্ষে বিএনপি, যুবদল বা ছাত্রদলের কোনো সন্ত্রাসীকে আমরা যশোরের রাজপথে নামতে দেবো না। একই সাথে বলতে চাই, যশোরবাসীর কাছে ক্ষমা না চাইলে অমিতকে যশোরের রাজপথে নামতে দেয়া হবে না। যেখানে যাবেন, সেখানেই তাকে ছাত্রলীগ, যুবলীগের নেতাকর্মীরা কঠোরভাবে প্রতিহত করবেন।
কচুয়ায় সমাবেশ শেষে রুপদিয়া বাজারে এসে তান্ডব চালিয়েছে। সেখানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি সম্বলিত প্যানা ও তোরণ ভাঙচুর করে। তিনি নিজেই নরেন্দ্রপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাজু আহমেদের গাড়ি ভাঙচুর করেছেন, তাকে হত্যাচেষ্টা চালিয়েছেন। ইউনিয়ন পর্যায়ে এসব অপতৎপরতা চালানোর পর তারা শহরে তান্ডব চালানোর পরিকল্পনা করে। আমরা তাদের সব অরাজকতা প্রতিহত করেছি। গত রবিবার ছাত্রলীগ, যুবলীগের নেতাকর্মীরা রাজপথে নামেন। সেদিন দুপুরে শহরের দড়াটানায় তাদের অরাজকতা প্রতিহত করে যুবলীগের নেতাকর্মীরা। পরে আমাদের নেতাকর্মীরা তাদের দলীয় কার্যালয়ে নাশকতার জন্য বৈঠক হচ্ছে জানতে পেরে সেখানে যান। কিন্তু সেখানে গেলে বিএনপির সন্ত্রাসীরা তাদের উপর হামলা করে। এরপর সেখানে দুই পক্ষের সংর্ঘষ হয়। এক পর্যায়ে সাধারণ মানুষ আমাদের সাথে অংশ নেন। পরে উত্তেজিত নেতাকর্মী ও সাধারণ জনতা অমিতের বাড়িতে গিয়ে সেখানে চলা নাশকতার বৈঠক ভন্ডুল করে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন