বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

দাম বেশি হওয়ার পেছনে প্রশাসনের ব্যর্থতা আছে

সার প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের কৃষিমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৩১ আগস্ট, ২০২২, ১২:০০ এএম

কারসাজি করে সারের দাম বাড়তি নেওয়া হচ্ছে। সারের দাম বেশি হওয়ার পেছনে প্রশাসনের ব্যর্থতা আছে। সারের কৃত্রিম সঙ্কট ও কারসাজি করলে জরিমানার পাশাপাশি ডিলারের লাইসেন্স বাতিল করা হবে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক।

গতকাল মঙ্গলবার সচিবালয়ে নিজ দফতরে ভিয়েতনামের রাষ্ট্রদূত ফাম ভিয়েত চিয়েনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের পর সাংবাদিকেদর প্রশ্নের জবাবে তিনি ওই কথা বলেন। তিনি বলেন, বাজারে পর্যাপ্ত মজুদ থাকার পরও গ্রাহক পর্যায়ে সারের দাম বেশি হওয়ার পেছনে প্রশাসনের ব্যর্থতা আছে। মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা না করেই চাল ও ডালসহ ৯টি নিত্য পণ্যের দাম বেঁধে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, এখন চাষিরা ধান লাগানোর জন্য পাগল হয়ে গেছেন। তাদের সারও কিনতে হয়। হয়তো ডিলার বলছে গাড়ি আসেনি বা কোনো কারণে সার নেই, কাল আসেন। কৃষক হয়তো বলেন, না থাকলেও কিছু দাও। তখন কারসাজি করে দাম বেশি নিচ্ছেন। ডিসি, এসপি, কৃষি কর্মকর্তাদের টেলিফোন করি। সবাই বলেন আমাদের এখানে সারের কোনো সমস্যা নেই। আমাদের গুদামে সারের সঙ্কট নেই। গত বছরের চেয়ে এবার বেশি সার দিচ্ছি। তারপরও কেন দাম বাড়বে?

তিনি বলেন, প্রশাসনের কিছুটা ব্যর্থতা নিশ্চয়ই আছে। দাম বাড়ার তো কোনো কারণ নেই। সঙ্কট নেই, তারপরও দাম বাড়ার সঙ্গে প্রশাসনের লোক জড়িত থাকতে পারেন, সেটাও আমরা দেখছি। খুব কঠোরভাবে আমরা এটি করার চেষ্টা করছি। রংপুর ও বগুড়ায় এটি বেশি হয়েছে, আমরা এগুলো তদন্ত করছি। সারের কৃত্রিম সঙ্কট ও কারসাজি করলে জরিমানার পাশাপাশি ডিলারের লাইসেন্স বাতিল করা হবে।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, অনিয়মের অভিযোগে চলতি আগস্টে সারাদেশে ৩৮৩টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়েছে। এর মাধ্যমে বিভিন্ন অনিয়মে জড়িত ৩৮৩ জন ডিলার ও খুচরা ব্যবসায়ীকে ৫৭ লাখ ৬৮ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। যশোরে সবচেয়ে বেশি ৬০টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়েছে। এছাড়া ময়মনসিংহে ৩৫টি, নওগাঁয় ৩১টি, ঠাকুরগাঁও ও নড়াইলে ২০টি করে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়েছে। নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যারা অনিয়ম করেছে তাদের লাইসেন্স বাতিল করার।
তিনি বলেন, লাইসেন্স দিয়েছে শিল্প মন্ত্রণালয়। আমরা তাদের কাছে সুপারিশ পাঠাচ্ছি, তারা এটা পরীক্ষা করবে এবং অনেক ডিলারের লাইসেন্স বাতিল হবে বলে আমরা মনে করছি। গতকাল পর্যন্ত সরকারি-বেসরকারিভাবে আমদানি করা এক লাখ ৮০ হাজার টন এমওপি সার দেশে পৌঁছেছে। সেপ্টেম্বরে এক লাখ ১৬ হাজার টন সার দেশে পৌঁছাবে। অন্যদিকে সেপ্টেম্বরে ৫১ হাজার টন ও অক্টোবর ৭০ হাজার টন এমওপি সারের চাহিদা রয়েছে। ফলে চাহিদার চেয়ে মজুদ অনেক বেশি হবে। চাহিদার বিপরীতে দেশে সব রকমের সারের পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে।
বর্তমানে ইউরিয়া সারের মজুদ ৬ লাখ ৫৬ হাজার মেট্রিক টন, টিএসপি ৩ লাখ ৯৪ হাজার টন, ডিএপি ৮ লাখ ২৩ হাজার টন, এমওপি ২ লাখ ৭৩ হাজার টন। সারের বর্তমান মজুদের বিপরীতে আমন মৌসুমে ইউরিয়া সারের চাহিদা ৬ লাখ ১৯ হাজার টন, টিএসপি ১ লাখ ১৯ হাজার টন, ডিএপি ২ লাখ ২৫ হাজার টন, এমওপি ১ লাখ ৩৭ হাজার টন। গত বছরের একই সময়ের তুলনায়ও সারের বর্তমান মজুদ বেশি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন