শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবি) সৈয়দ মুজতবা আলী হলের বর্ধিতাংশের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। প্রজেক্ট উদ্বোধনে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এক দিনের সিলেট সফরের অংশ হিসেবে আজ শুক্রবার (২ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০ টা ৪৫ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বেলা ১১ টায় হলটিতে নতুনভাবে বর্ধিত তিনটি ব্লকের উদ্বোধন করেন তিনি।
উদ্বোধন পরবর্তী আলোচনা সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, সৈয়দ মুজতবা আলীর ভ্রাতুষ্পুত্র রুহুল আমীন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল ইসলাম, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আখতারুল ইসলাম, ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালক অধ্যাপক আমিনা পারভীন, প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক ইশরাত ইবনে ইসমাঈল, সৈয়দ মুজতবা আলী হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. আবু সাঈদ আরফিন খানসহ আরও অনেকেই বক্তব্য রাখেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যের শুরুতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন পাকিস্তানের স্বাধীনতা ও তার পরবর্তী সময়ে সিলেটের অবস্থা ও এতে সৈয়দ মুজতবা আলীর সংশ্লিষ্টতা নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি বলেন, সবার জেনে রাখা ভালো , পাকিস্তান সৃষ্টি হয় ১৪ আগস্ট, ১৯৪৭ সাল। সিলেটের জন্য এটা বিশেষ একটা দিন ছিল কারণ এইখানে ( সিলেটে) গণভোটের মাধ্যমে সিলেট পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত হয়। স্বাধীনতার ১ মাসও হয়নি; ১১ সেপ্টেম্বর সিলেটের একটি ভাষা সম্মেলনে যারা বক্তব্য দেন তাদের মধ্যে মুজতবা আলী ছিলেন। খুবই দুঃখের বিষয় পরবর্তীতে সৈয়দ মুজতবা আলীকে ভারতের দালাল বলে দেশ থেকে বিতাড়িত করা হয়। আমাদের সৌভাগ্য যে, মুজতবা আলী সাহেব বিদেশে গিয়ে দেশের মান ইজ্জত সমুন্নত রেখেছেন।
মন্ত্রী আরও বলেন, এই হলে যারা থাকবে তারাসহ সবারই আরেকটা বিষয় মনে রাখা উচিত মুজতবা আলী সাহেব বলেছেন, বই কিনে কেউ দেউলিয়া হয় না। সুতরাং তোমরা বই কেনা এবং বই পড়ার মনমানসিকতা গড়ে তুলো। তাহলে সৈয়দ মুজতবা আলীর প্রতি আমরা একটা দায়বদ্ধতা সম্পন্ন করব।
এছাড়াও পররাষ্ট্রমন্ত্রী এম এ মোমেন তাঁর বক্তব্যে সিলেট অঞ্চলের শিক্ষাদীক্ষার মান নিয়ে কথা বলেন। তিনি বলেন, সিলেট জ্ঞানীগুণীদের শহর। কিন্তু দুঃখের বিষয় সাম্প্রতিক শিক্ষার ক্ষেত্রে আমরা অনেক পিছিয়ে গেছি। সারাদেশের শিক্ষার তুলনায় এই সিলেটের অবনতি বেশি। যার কারণে এখানে আমাদের মাতৃ মৃত্যুর হার বেশি, আমাদের শিশু মৃত্যুর হারও বেশি। যদিও এখানে মাথাপিছু আয় ভালো। কিন্তু তবুও এগুলোর ওপর শিক্ষার প্রভাব পড়ে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন