বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) ভবনে বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হয়েছে এএফসি’র এলিট কোচিং কোর্স। একদিনের এই কোর্সে অংশ নিয়েছেন জাতীয় দলের বর্তমান অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া, সাবেক অধিনায়ক মামুনুল ইসলাম, ডিফেন্ডার ওয়ালী ফয়সাল, গোলরক্ষক আশরাফুল ইসলাম রানারা। সদ্যই তিরিশ পেরুনো জামাল ভূইয়া এই কোর্স করলেও তার মনোযোগ এখনও খেলায়। তবে তার কাছে কোচিং পেশা একটা ব্যাকআপ প্লান। এ প্রসঙ্গে গতকাল জামাল বলেন, ‘কোর্স করে রাখলাম। তবে আমি আরো অনেক দিন খেলতে চাই। খেলা ছাড়ার পর কি করবো এখনো ঠিক করিনি। কোচিং একটা ব্যাকআপ প্ল্যান। বিজনেসও করতে পারি। আমার বিজনেস আছে, যা শেয়ার করি না কারো কাছে।’ জামালের আগে জাতীয় দলের অধিনায়কের দায়িত্ব ছিল মিডফিল্ডার মামুনুল ইসলামের কাঁধে। বর্তমানে জাতীয় দলে না থাকলেও বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে ঠিকই খেলে যাচ্ছেন। এএফসি’র এলিট কোচিং কোর্স তার কাছে একটি শিক্ষণীয় বিষয়, ‘এই কোর্স থেকে অনেক কিছু শেখার রয়েছে। আমরা যেটা পরবর্তীতে অন্যদের শেখাতে পারবো।’ জাতীয় দলের গোলরক্ষক আশরাফুল ইসলাম রানা বলেন, ‘নতুন অনেক কিছুই শিখলাম কোর্স করে। ফুটবল নিয়ে পড়াশোনাটা ভালোই লাগলো।’ জাতীয় দলে এক যুগেরও বেশি সময় খেলা ডিফেন্ডার ওয়ালী ফয়সাল মনে করেন এই কোর্স তাদেরকে অন্যদের চেয়ে এগিয়ে রাখবে, ‘এটা বিশেষায়িত কোর্স। এই কোর্স করার কারণে আমরা অনেকটা এগিয়ে থাকবো। পরবর্তীতে কেউ কোচিংকে পেশা হিসেবে নিতে চাইলে তাদের সময় অনেক বাঁচবে।’
এই বিশেষায়িত কোর্সের জন্য জামাল-মামুনুলদের বাফুফেকে দিতে হচ্ছে ৩ লাখ টাকা। দশ জনের কাছ থেকে বাফুফের ৩০ লাখ টাকা পাওয়ার কথা। বৃহস্পতিবার জাহেদ পারভেজ চৌধুরি ও নাসিরউদ্দিন চৌধুরি সশরীরে উপস্থিত ছিলেন না। অনলাইনে দুই জন এবং বাকি ৮ জন বাফুফে ভবনে উপস্থিত থেকে কোর্সটি শেষ করেছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন